স্টাফ রিপোর্টার, বান্দরবান: বান্দরবানে অতি সম্প্রতি রুমা ও থানচি উপজেলায় কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) কতৃক ব্যাংক ডাকাতি ও সরকারি অস্ত্র লুটের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন করে সাধারণ বম জনগোষ্ঠী। রবিবার (১৯ মে) বিকেল ৪ টায় জেলা শহরের উজানী পাড়ার ইভানজেলিকেল খ্রীষ্টিয়ান চার্চ প্রাঙ্গনে বম সম্প্রদায় এ মানববন্ধন করেছে। এ সময় মানববন্ধনে ব্যানার ও বিভিন্ন প্ল্যার্কাড হাতে নিয়ে বম সম্প্রদায়ের বিভিন্ন শ্রেনীর পেশার জনগণ অংশ নেন। এ মানববন্ধনে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের পাশাপাশি এ সময় শিশু ও বয়স্করা প্ল্যার্কাড হাতে নিয়ে কেএনএফ কর্মকান্ডকে প্রতিবাদ করে। সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ছেড়ে কেএনএফ সকল সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরত আসার আহবান করে। এ মানববন্ধনে কেএনএফ ও কেএনএ সংগঠনকে বর্জন করার ঘোষণা দেয়র বম সমাজ ও ছাত্র সমাজ।

            এ সময় বক্তারা আরো বলেন, পথভ্রষ্ট ও বিপদগামী কিছু সংখ্যক কেএনএফ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কারণে সকল বম জাতি দোষী হতে পারে না। যারা সন্ত্রাসী তাদের যৌথবাহিনী আটক করুক। আর যারা নিরাপরাধ তাদের মুক্তি দেয়া হোক। এ সময় বক্তব্য রাখেন, লাল অং পার বম, লাল পেক থার বম, ঙুন চুয়ান বম, তোয়ার নেম বম। প্রায় শতাধিক বম সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষ ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধনে অংশ নেন।

            গত ০২ এপ্রিল রাত ৯ টায় বান্দরবানের রুমা উপজেলায় রুমা সোনালী ব্যাংক ডাকাতি করে কেএনএফ সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। এ সময় লুট করে ১ কোটি ৫৯ লক্ষ টাকা। এ ঘটনায় ছিনিয়ে নিয়ে যায় আনসার ও পুলিশের ১৪ টি অস্ত্র। অপহরণ করে ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে। এর পরের দিন ০৩ এপ্রিল দুপুর ১২:৩০ টা সময় বান্দরবানে থানছি উপজেলায় ব্যাংক ডাকাতি করে কেএনএফ সন্ত্রাসীরা। সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে হামলা চালিয়ে লুটপাট করে অনুমানিক ১৭ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা। এর পরের দিন ০৪ এপ্রিল সকালে বান্দরবানে থানচি উপজেলায় আলীকদমের ২৬ কিলো মিটার এলাকায় সামরিক চৌকিতে হামলা করে কেএনএফ সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। সামরিক চৌকিতে কেএনএফ সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হামলা করার বিষয়টি নিশ্চিত করে নিরাপত্তা বাহিনী। এর পরের দিন ০৫ এপ্রিল রাতে থানছি উপজেলায় থানছি থানায় হামলা করে কেএনএফ সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। এ হামলা ঘটনায় কয়েক ঘন্টা যুদ্ধ করে নিরাপদে পালিয়ে যায় কেএনএফ সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। এ ব্যাংক ডাকাতি, অপহরণ ও অস্ত্র লুট ঘটনায় রুমায় ৫ টি ও থানচিতে ৪ টি মোট ৯ টি মামলায় অজ্ঞাত নামা প্রায় ১৮০ জনকে আসামী করে মামলা করা হয়। অস্ত্র  ও টাকা উদ্ধারে যৌথ অভিযান পরিচালনা করছে সেনাবাহিনী। এ যৌথ অভিযানে এ পর্যন্ত প্রায় ১৫০ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

খবরটি 502 বার পঠিত হয়েছে


আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Follow us on Facebookschliessen
oeffnen