স্টাফ রিপোর্টার, বান্দরবান: বান্দরবানে বৌদ্ধ ধর্মীয় নিয়মে প্রতি বছরের ন্যায় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মহা পিন্ডদান অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। করোনা মহামারি কারনে এক বছর পর আয়োজন করা হয় মহা পিন্ডদান অনুষ্ঠান। শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) ধর্মীয় অনুষ্ঠান মহা পিন্ডদান অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়েছে। বান্দরবান শহরের রাজ গুরু বৌদ্ধ বিহার থেকে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা শুরু করেন পিন্ড চারণ। শহরে বৌদ্ধ পল্লী এলাকায় বৌদ্ধ ভিক্ষুরা একত্রিত অশংগ্রহনে পিন্ড চারণ করেন। গৌতম বুদ্ধ সময় থেকে আবহমানকাল ধরে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পিন্ড চারণ রীতি প্রচলিত ছিল। বৌদ্ধ ধর্মীয় এ প্রচলিত রীতি অনুসরণ করার লক্ষ্যে মহা পিন্ডদান অনুষ্ঠান আয়োজন করেন বৌদ্ধ ভিক্ষু সংঘ।
প্রতি বছরের ন্যায় এ বছর মহা পিন্ডদান উপলক্ষে শহরের রাস্তায় রং বেরং প্যান্ডেল ও গেট সাজানো হয়। ধর্মীয় উৎসাহ উদ্দীপনায় এলাকার দায়ক দায়িকা, উপাসক উপাসিকা মহা পিন্ডদান অনুষ্ঠানে অশংগ্রহন করেন। এক সময় দায়ক দায়িকা, উপাসক উপাসিকা আনন্দের সাথে বৌদ্ধ ভিক্ষুকে পিন্ডদানে অশংগ্রহন করতেন। এখন সময়ের সাথে সংস্কার হয়ে পিন্ড বা ভাতের পরিবর্তে টাকা, চাউল ও অন্যান্য খাবার দান করেন।
প্রতি বছর বৌদ্ধ ধর্মীয় নীতি পালনে তিন মাস বর্ষাবাস ভ্রত থাকেন ধর্মীয় গুরু বা বৌদ্ধ ভিক্ষুরা। বর্ষাবাস তিন মাস শেষ হলে প্রবারণা পূর্ণিমা বা আশ্বিনী পুর্ণিমা তিথিতে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা বর্ষাবাস ভ্রত সম্পন্ন করেন। প্রবারণা পূর্ণিমা অনুষ্ঠানের পর বৌদ্ধ ধর্মের দানোত্তম কঠিন চীবর দান আয়োজন করা হয়। বান্দরবানে প্রতি বছর কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠান শেষ হলে মহা পিন্ডদান অনুষ্ঠানে অশংগ্রহন করেন বৌদ্ধ সম্প্রদায়।