জাতীয় ডেস্ক: নড়াইল জেলার লোহাগাড়া উপজেলার মল্লিকপুর ইউনিয়নের করফা গ্রামে সেনা প্রধানের পৈতৃক ভিটায় নির্মিত আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত অধ্যাপক শেখ মো: রোকনউদ্দিন আহমেদ ১০ শয্যা  বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয়। রোববার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে মল্লিকপুর ইউনিয়নে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের উদ্বোধন সেনা প্রধান। এ সময় তিনি স্থানীয়দের মাঝে খাদ্য ও উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন। এর পর তিনি সেনাবাহিনী কর্তৃক আয়োজিত মেডিকেল ক্যাম্পেইন পরিদর্শন করেন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

            এ সময় সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, স্বাধীনতার জন্য যারা জীবন দিয়েছেন তাদের অবদানকে শ্রদ্ধার সঙ্গে আমাদের স্মরণ করতে হবে। তাদের মনে না রাখলে ভবিষ্যতে মানুষ দেশের জন্য নিজেকে আত্মত্যাগ করার উৎসাহ পাবে না। গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি স্বাধীনতার রূপকার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। একই সঙ্গে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি জাতির সূর্য সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের। তিনি আরও বলেন, আমার জন্ম ও বেড়ে উঠা খুলনায় আর পৈতৃক ভিটা লোহাগড়া উপজেলার করফা গ্রামে। তাই নাড়ির টানে বারবার এ গ্রামে ছুটে আসি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়ন করছেন। নড়াইলের উন্নয়ন দৃশ্যমান। যতটুকু পেরেছি এলাকার মানুষের সেবা করার চেষ্টা করেছি। ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র উদ্বোধনের মাধ্যমে এলাকাবাসী চিকিৎসা সেবা পেয়ে উপকৃত হবেন। এ এলাকায় নদীর তীররক্ষা বাঁধ নির্মাণ, মল্লিকপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়টিকে সরকারী করণ করায় এলাকার মানুষের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।

            এর আগে দিনভর নড়াইলের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। সকালে নড়াইল শহরাংশে জাতীয় মহাসড়ক প্রস্তুতকরণ ও উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্প পরিদর্শন করেন তিনি। এ সময় তিনি কাজের গুণগত মান বজায় রেখে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এবং জনসাধারণের কোনো ধরনের অসুবিধার সৃষ্টি না করে প্রকল্প কাজ সমাপ্ত করার নির্দেশনা প্রদান করেন। এর পর তিনি ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিদর্শনের অংশ হিসেবে নড়াইল জেলার মোচড়া এলাকায় ডিভিশন পরিচালিত আর্মস কমান্ডো ক্যাডারের চূড়ান্ত অনুশীলন পর্যবেক্ষণ করেন। এ সময় তিনি প্রশিক্ষণার্থীদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি এবং প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলার দক্ষতা অর্জনের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। পাশাপাশি তিনি সেনা সদস্যদের দেশের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের মানসিকতা নিয়ে কাজ করার নির্দেশনা প্রদান করেন।

            এ সময় ৫৫ পদাতিক ডিভিশন জিওসি মেজর জেনারেল মাহাবুব রশিদসহ পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের সিসিও মেজর জেনারেল রেজাউল মজিদ, ডিসিসিও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল কালাম আজাদ, স্বাস্থ্য সচিব ডা. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বশির আহমেদ, অ্যাডিশনাল চিফ আনোয়ার হোসেন, নির্বাহী প্রকৌশলী আনিসুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

খবরটি 385 বার পঠিত হয়েছে


আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Follow us on Facebookschliessen
oeffnen