পযর্টন ডেস্ক: ভারতের অনিন্দ্য সুন্দর সিকিমের উঁচু পাহাড়গুলো বছরের অধিকাংশ সময় বরফে ঢাকা থাকে। এ সব বরফ ও পর্বত দেখতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কয়েক লাখ পর্যটক সিকিম ও তার রাজধানী গ্যাংটক ভ্রমণ করেন। এ বছর হঠাৎ তাপমাত্রা এতটা বেড়ে গিয়েছিল। গরম বেড়ে যাওয়ায় শুরু হয়েছে হাঁসফাঁস। তাপমাত্রা খুব বেড়ে গেলে গরমের অনুভূতি খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হচ্ছে না জানিয়েছেন অন্য পর্যটকেরা। বেশ কিছু হোটেলে ফ্যানের লাগানোর অনুরোধ করেছেন পর্যটকরা।
কলকাতার পত্রিকা আনন্দবাজার জানাচ্ছে, মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত সিকিমে বিভিন্ন জায়গায় তুষারপাত হয়েছিল। কিন্তু তার পরে সিকিমে বেড়াতে এসে হতাশ হচ্ছেন কোনো পর্যটক। গ্যাংটকে এ বছর তাপমাত্রা বেড়েছে। রোদের তাপ মারাত্মক। গ্যাংটক সংলগ্ন তাদং এলাকার তাপমাত্রা ৩১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। হোটেলগুলোতে ফ্রিজ থাকলে ৯০ শতাংশ হোটেলে এসি-ফ্যান প্রয়োজন হয় না।
ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, মার্চ থেকে মে মাসের ব্যবধানে গত দেড় দশকে যা দেখা যায়নি এবার সিকিমে তেমন আবহাওয়া দেখা গেছে।
একজন আবহাওয়াবিদ বলেন, আমার চাকরি জীবনে সিকিমে কখনও তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি হবে ভাবিনি। বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে, বিভিন্ন জায়গায় স্বাভাবিক আবহাওয়ার ভারসাম্য যে নষ্ট হয়ে চলেছে।