মো: তুহিন হোসাইন, স্টাফ রিপোর্টার, বান্দরবান: বান্দরবানে প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রকাশ্যে হোটেল সরোয়ারে চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা। দীর্ঘদিন ধরে ট্রাফিক মোড় সংলগ্ন সাঙ্গু ব্রীজের পাশে হোটেল সরোয়ারে মোঃ: শাকিল হাসান নামে এ ব্যক্তি রম রমা অবৈধ দেহ ব্যবসা চালাচ্ছে। যার কারণে নষ্ট হচ্ছে যুবসমাজ ও পাশাপাশি যুক্ত হচ্ছে মাদক সেবনে। এ বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসীর অভিযোগ প্রশাসনের নাকের ডগায় উপেক্ষা করে এ দেহ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে একটি সিন্ডিকেট চক্র তার মধ্যে অন্যতম হলো হোটেল সরোয়ার।

            স্থানীয় এলাকাবাসীরা যুব সমাজকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের জিনিসটি অবগত করলে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দরা বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনকে অবগত করে যার প্রেক্ষিতে ১০ মার্চ শুক্রবার দুপুরে তাৎক্ষণিক একটি পুলিশের মোবাইল টিম ঘটনাস্থলে এসে হাজির হয় এবং তারা হোটেল সরোয়ারে অভিযান চালায়। অভিযান চলাকালীন সময়ে উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মী ও পুলিশ প্রশাসন হোটেলে কয়টি রুম আছে জিজ্ঞেস করলে হোটেলের ম্যানেজার আশরাফুল হাসান সজল ১২ টি রুম আছে বলে জানান। এ সময় অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে বুকিংকৃত ৩ টি রুম চেকিং করলে বুকিং বিহীন ছাড়া অন্য ৯ টি রুম চেক করা হয়নি। যার কারণে শস্যের ভিতর ভূত লুকিয়ে আছে বলে গণমাধ্যম কর্মী ও উপস্থিত সকল জনসাধারণের মনে সন্দেহ রয়েছে । এ কাজে বিশ্বাস ও আস্থার প্রতি সন্দেহ জন্ম নিয়েছে প্রশাসনের প্রতি।কি কারনে বাকি ৯ টি রুম চেকিং করা হয়নি সে প্রশ্ন উপস্থিত সকল জনসাধারণের। যার কারণে সকলে ক্ষোপ্রকাশ করেছে।

            এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপস্থিত কয়েকজন জানান, তারা সকাল সন্ধ্যা দেখে এ হোটেলে অবৈধভাবে নারী উঠানামা করে এবং যুবসমাজ যার কারণে ধ্বংস হচ্ছে।

            এ বিষয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত দায়িত্বরত অফিসার ইনচার্জ এস আই শাহীনকে মুঠোফোনে ঘটনার বিষয়ে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকার পর বাকি ৯ টা রুম কেন চেক করা হয়নি সে প্রশ্ন জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন সবগুলো রুম রেট দেওয়া উনার পক্ষে ইকতেয়ার নাই এ বিষয়ে আমাদের উর্ধ্বতন স্যারের সাথে কথা বলেন। পরবর্তীতে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে দুইবার ফোন দেওয়া হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।

            গত কয়েক বছর ধরে অবৈধ কার্যকলাপের নিরাপদ স্থান হওয়ায় আশেপাশে এ হোটেল গুলোতে এ পর্যন্ত বিভিন্ন কিছুর সমস্যা ভুক্ত হয়ে অনেকজন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

খবরটি 422 বার পঠিত হয়েছে


আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Follow us on Facebookschliessen
oeffnen