জাতীয় ডেস্ক: বাঙালী জাতির জন্য বহুল প্রত্যাশিত দিন ও স্বাধীন বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তির দিন আজ। আজ সেই গর্জে ওঠার দিন। মুক্তির মিছিলে অগ্নিঝরা কণ্ঠে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানের দিন। আর তাই তো দিনটিকে ঘিরে লাল সবুজে সেজেছে পুরো দেশ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত বাংলা গড়ার করার অঙ্গীকারের দিন আজ। আর তাই তো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতীয় পতাকা হাতে ‘সোনার বাংলা’ গড়ার শপথ নেবে আজ পুরো দেশবাসী। আজ বিকেল সাড়ে ৪টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সারাদেশের মানুষকে শপথ পাঠ করাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যার সাক্ষী হয়ে থাকবে পুরো বিশ্ব। জাতীয় পতাকা হাতে শপথ বাক্য পাঠ কর্মসূচী বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে দেশের সব জেলা, উপজেলা এমনকি ইউনিয়নগুলোও। দুর্গম অঞ্চলের মানুষদেরও টেলিভিশনের সামনে থেকে শপথ পাঠের আহ্বান জানানো হয়েছে।

            এছাড়া জন্মশতবার্ষিকী ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ প্রতিপাদ্যে আগামী ১৬-১৭ ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত দুই দিনব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠানমালাও শুরু হবে আজ। বিদ্যমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে আয়োজিত এসব অনুষ্ঠানে ১০টি পয়েন্টে করোনা টেস্ট করে সার্টিফিকেটসহ দেশী-বিদেশী অতিথিরা অংশ নেবেন। দুই দিনব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠানমালার সব আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। আজ ১ম দিন অনুষ্ঠান শুরু হবে বিকেল সাড়ে ৪টায় এবং শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার পরিচালনায় থাকবে সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের শপথ। শপথ গ্রহণ শেষে আলোচনা পর্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ। সম্মানীয় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন ভারতের মহামান্য রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। প্রত্যেক দিনের অনুষ্ঠান বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বেতারের মাধ্যমে বিভিন্ন বেসরকারী চ্যানেল ও মিডিয়ায় সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে দেশে এবং বিদেশে প্রচার করা হবে। এ সময় কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, ১৬ ডিসেম্বরে সব সময় প্যারেড গ্রাউন্ডে কুচকাওয়াজ হয়। এবারের কুচকাওয়াজ অন্যবারের চেয়ে বড় আকারে হবে। সেখানে ৬টি দেশের প্রতিনিধি আসবেন। সেখানে অনেক দেশের অংশগ্রহণ থাকবে। তাই আমাদের অনুষ্ঠান প্যারেড গ্রাউন্ডের পরিবর্তে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

            এছাড়া অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখবেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক এবং জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং স্বাগত বক্তব্য রাখবেন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। এ অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানা কর্তৃক সম্মানীয় অতিথিকে ‘মুজিব চিরন্তন’ শ্রদ্ধাস্মারক প্রদান করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

            জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তিতে সারাদেশের মানুষকে শপথ পাঠ করাবেন। বিকেল সাড়ে ৪টায় সারাদেশে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে শপথ পাঠ কর্মসূচী। জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে দেশব্যাপী সব শ্রেণী-পেশার মানুষকে এই শপথে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি সারাদেশের সঙ্গে যুক্ত থেকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ার অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার দৃপ্ত প্রত্যয়ে উচ্চারিত হবে শপথের প্রতিটি বাক্য। যা ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে বলে আমরা আশা করছি।

            আজকের অনুষ্ঠান বিকেল সাড়ে ৪টায় শুরু হয়ে শেষ হবে রাত ৮টায়। বিকেল ৫টা থেকে সোয়া ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠানে ২৫ মিনিটের বিরতি থাকবে। পরদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় শুরু হয়ে চলবে ৭টা পর্যন্ত।

খবরটি 415 বার পঠিত হয়েছে


আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Follow us on Facebookschliessen
oeffnen