জাতীয় ডেস্ক: চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের উপকূলীয় অঞ্চলের ৩৪ জন জলদস্যু আত্মসমর্পণ করেছে। এ সময় তারা নিজেদের ব্যবহৃত দেশি-বিদেশি ৯০টি অস্ত্র ও ২ হাজার ৫৬ রাউন্ড গুলি ও কার্তুজ জমা দেন। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের বাঁশখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের কাছে অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করে জলদস্যুরা। র‌্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব-৭) উদ্যোগে ১১টি দস্যু বাহিনীর ২৪ জন ও অন্যান্য আরো ১০ জন জলদস্যু আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় জলদস্যুরা অতীত কর্মকাণ্ডের জন্য ক্ষমা চেয়ে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

            আত্মসমর্পণকারী জলদস্যুরা হচ্ছেন বাইশ্যা বাহিনীর আব্দুল হাকিম ওরফে বাইশ্যা ডাকাত (৫২), আহামদ উল্লাহ (৪২) ও আব্দুল গফুর ওরফে গফুর (৪৭)। ফুতুক বাহিনীর দিদারুল ইসলাম ওরফে পুতিক্যা (৩২), জসিম উদ্দিন (২৬) ও মিজানুর রহমান (২৩)। খলিল বাহিনীর আব্দুর রহিম (৬৪) ও মাহমুদ আলী প্রকাশ ভেট্টা। বাদল বাহিনীর ওবায়দুল্লাহ (৩৬), রমিজ বাহিনীর ইউনুছ (৫৬), দিদার বাহিনীর তৌহিদ ইসলাম (৩৪), বাদশা বাহিনীর নিজাম উদ্দিন ভান্ডারী, ইউনুস (৫১), কামাল উদ্দিন (৪৭), কাদের বাহিনীর আব্দু শুক্কুর (২৮)। জিয়া বাহিনীর সাহাদাত হোসেন দোয়েল (৪১), পারভেজ (৩৩), নাছির বাহিনীর নাছির (৫১), আমির হোসেন (৪৮), সাকের (৪০)। কালাবদা বাহিনীর সেলিম বাদশা (৩৪), আব্দুল গফুর ওরফে গফুর, আবু বক্কর সিদ্দিক (৩১), মামুন মিয়া (২৭)। অন্যান্য দস্যুবাহিনীর আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে বাইশ্যা (২৯), বেলাল মিয়া (৩০), আব্দুল হাকিম ওরফে বাক্কু (৩৫), রশিদ মিয়া (৩৬), ইসমাইল (২৪), সাহাবুদ্দিন ওরফে টুন্নু (৩২), ফেরদৌস (৫২), রেজাউল করিম (৪০), ইউনুচ (৪২) ও মঞ্জুর আলম (৪২)।

            র‌্যাব-৭ সূত্রে জানা গেছে, সাগরের ত্রাস বাইশ্যা ডাকাত বাহিনীর ৩ জন, খলিল বাহিনীর ২ জন, রমিজ বাহিনীর ১ জন, বাদশা বাহিনীর ৩ জন, জিয়া বাহিনীর ২ জন, কালাবদা বাহিনীর ৪ জন, ফুতুক বাহিনীর ৩ জন, বাদল বাহিনীর ১ জন, দিদার বাহিনীর ১ জন, কাদের বাহিনীর ১ জন, নাছির বাহিনীর ৩ জন এবং অন্যান্য আরও ১০ জনসহ মোট ৩৪ দস্যু ৯০টি দেশি-বিদেশি অস্ত্র, ২ হাজার ৫৬ রাউন্ড গুলি ও কার্তুজ জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করছেন।

            আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন র‌্যাব-৭ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান।র‌্যাব জানায়, যারা আত্মসমর্পণ করেছে তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে র‌্যাবের পক্ষ থেকে সার্বিক সহায়তা করা হবে। যারা এখনও আত্মসমর্পণ করেননি তাদের আইনের আওতায় আনতে র‌্যাবের ধারাবাহিক অভিযান অব্যাহত থাকবে। যারা আত্মসমর্পণ করেছেন তারা যেন আর ভুল পথে পা না বাড়াতে পারে সেদিকে নজরদারি অব্যাহত থাকবে।

খবরটি 555 বার পঠিত হয়েছে


আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Follow us on Facebookschliessen
oeffnen