স্টাফ রিপোর্টার, বান্দরবান: বান্দরবানে সদর উপজেলায় বম জনগোষ্ঠীর নবান্ন উৎসব ফাথার বুহ তেম ও লোকসাংস্কৃতি উৎসব আয়োজন করে। সুয়ালক ইউনিয়নের বেথানী পাড়ায় লাল জুয়াল বম জুমে আয়োজন করা হয় বম জনগোষ্ঠীর নবান্ন উৎসব ফাথার বুহ তেম। শনিবার (২৭ নভেম্বর) সকাল ১০ টায় নবান্ন উৎসব উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছে ফাথার বুহ তেম মঙ্গল শোভাযাত্রা। আনন্দ ও উৎসব আমেষে মঙ্গল শোভাযাত্রা বেথানী পাড়া হতে অনুষ্ঠান স্থলে শেষ হয়। বম আদিবাসীর এ নবান্ন উৎসবে আয়োজন করা হয় জুমের নতুন ফসল উৎসর্গ ও প্রার্থনা, জুম চাষের সরঞ্জামাদি ও জুমের নতুল ফসল প্রর্দশন, জুমের নতুন ধানের পিঠা মেলা। নবান্ন উৎসবে আরো আয়োজন করা হয় বম আদিবাসীর লোকসংগীত, লোকনৃত্য, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নবান্ন পরিবেশন।

বম আদিবাসীর এ নবান্ন উৎসবে প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারবিন তিবরিজি। বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা ইউএনও, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনষ্টিটিউট পরিচালক মংসুচিং মারমা, বাংলাদেশ বেতার উপবার্তা নিয়ন্ত্রক অজিত কুমার নাথ, জেলা শিল্পকলা একাডেমি সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বাচ্চু, কথোয়াইন এনজিও পরিচালক গাব্রিয়েল ত্রিপুনরা। সভাপতিত্ব করেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য সিঅঙ খুমী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মিস জুয়ারেনথাং বম।

বম আদিবাসীদের এক সময় জীবন জীবিকার প্রধান কাজ ছিল জুম চাষ। জুম চাষ নিয়ে গড়ে উঠেছিল জুম সংস্কৃতি। জুম চাষ শুরু হতে শেষ পর্যন্ত প্রাকৃতিক পরিবেশকে শান্ত রেখে ফসল আহরণে বিভিন্ন প্রকৃতি পূজা পার্বণ রীতি রেওয়াজ করে পালন করত। তার মধ্যে জুমের ধান কাটা শুরু ও শেষ হলে আনন্দে বম আদিবাসীরা নবান্ন উৎসব ফাথার বুহ তেম আয়োজন করে। এভাবে প্রতিটি বম আদিবাসীদের ঘরে খুশী ও আনন্দের সীমা ছিলনা। বর্তমান বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তন, ভূমি সংকট, আকাশ সংস্কৃতির বিনোদন আগ্রাসন ও ধর্মীয় বিধি নিষেধ এভাবে বম আদিবাসীদের জীবন ধারা থেকে হরিয়ে যাচ্ছে নবান্ন উৎসব ফাথার বুহ তেম ও লোকসাংস্কৃতির উৎসব। আদিবাসীদের জীবন ধারার লোকসাংস্কৃতির উৎসব পালন ও সংরক্ষণে সহায়তা করছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণাল, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনষ্টিটিউট।

খবরটি 476 বার পঠিত হয়েছে


আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Follow us on Facebookschliessen
oeffnen