আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাজ্য ভিত্তিক আন্তর্জাতিক অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডকে অবাঞ্ছিত সংস্থা হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন এবং রাশিয়ার বিরোধিতা করার অভিযোগে রাশিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় সংস্থাটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এ নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোন মন্তব্য করেনি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। রুশ কর্মকর্তারা প্রায় ইউক্রেনকে নব্য নাৎসি পরিচালিত রাষ্ট্র এ অভিযোগ করে আসছে। যদিও ইউক্রেন ও তার পশ্চিমা মিত্র এবং অন্যান্যরা এ অভিযোগকে ভিত্তিহীন দাবি করেছে।
এক বিবৃতিতে রাশিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের লন্ডন অফিস বিশ্বজুড়ে রাশিয়া বিরোধী প্রকল্প তৈরির কেন্দ্র হিসেবে কাজ করছে। সংস্থাটি ইউক্রেনের পক্ষে কাজ করছে। যার সঙ্গে রাশিয়া বর্তমানে যুদ্ধে লিপ্ত আছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এ অঞ্চলে সামরিক সংঘাত আরও বৃদ্ধি করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। ইউক্রেনের নব্য নাৎসি বাহিনীর অপরাধকে সমর্থন ও তাদের জন্য অধিক তহবিলের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানায় সংস্থাটি। এভাবে আমাদের দেশকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে একঘরে করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে অ্যামনেস্টি।
১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করে। আন্তর্জাতিক এ মানবাধিকার সংস্থার প্রধান কার্যালয় লন্ডনে অবস্থিত। রাশিয়া যেসব সংস্থাকে দেশের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি মনে করে, সেসব সংস্থাকে নিয়মিতভাবে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে। এ ঘোষণার ফলে এসব সংস্থায় কাজ অথবা অর্থায়ন করলে রুশ নাগরিকদের পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের সরকার নিয়ন্ত্রিত সম্প্রচার মাধ্যম আরএফইআরএল এবং আন্তর্জাতিক পরিবেশ সংস্থা গ্রিনপিসকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল রাশিয়া। এসব সংস্থার বিরুদ্ধে রুশ বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ এনেছে মস্কো।
সূত্র: রয়টার্স।