জাতীয় ডেস্ক: দেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে ইসি। এ ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। আর বিএনপি দলের প্রতিক্রিয়া এ তফসিল ঘোষণা করে দেশকে গভীর সংকটে ফেলে দিয়েছে ইসি।

            আওয়ামী লীগ দলের নেতারা প্রতিক্রিয়ায় বলেন, নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ। নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেছে। এ নির্বাচনী ট্রেন যারা মিস করবে তাদের জন্য নির্বাচন বসে থাকবে না। নির্বাচন তার আপন গতিতে চলবে। নির্বাচন কমিশন স্বাধীন, তারা স্বাধীনভাবে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। তারা সুষ্ঠু, অবাধ এবং একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে সক্ষম হবে।

            আওয়ামী লীগ দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, নির্বাচন শিডিউল ঘোষণা করায় দেশবাসী স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে। গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা এবং শাসনতান্ত্রিকভাবে দেশ পরিচালনায় এটা একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। তিনি আরও বলেন, নাশকতা, জ্বালা, পোড়াও, ধ্বংস, অগ্নিসন্ত্রাসীদের হাত থেকে গণতান্ত্র, সাংবিধান এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা বাংলাদেশ আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে।

            বিএনপি দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রতিক্রিয়ায় বলেন, নির্বাচন কমিশন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে দেশকে গভীর সংকটের দিকে ফেলে দিয়েছে এ দাবি করেছে । তিনি আরও বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল এ স্বৈরাচার সরকারের প্রধান দলদাস। এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। সিলেকশন ভোটের তফসিল ঘোষণা করে জাতির সঙ্গে চরম তামাশা করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।

            ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর। মনোনয়ন পত্র যাচাই বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। মনোনয়ন আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮ টা পর্যন্ত এবং ভোট গ্রহণ ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনের পর সংসদের প্রথম অধিবেশন বসে ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি। সংবিধান অনুযায়ী, তার আগে ৯০ দিনের মধ্যে ভোট হতে হবে। সে হিসাবে গত ১ নভেম্বর নির্বাচনের ক্ষণ গণনা শুরু হয়ে গেছে। ২৯ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা আছে।

খবরটি 400 বার পঠিত হয়েছে


আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Follow us on Facebookschliessen
oeffnen