বিশেষ খবর ডেস্ক: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম বলেছেন, বঙ্গবন্ধু একে অপরের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ও মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধার ভিত্তিতে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের একটি শক্তিশালী ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। ভারতের সিমলায় বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সংলাপের দশম রাউন্ডের উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। তার বক্তব্যের শিরোনাম ভারতে বঙ্গবন্ধুর ভিশন-বাংলাদেশ মৈত্রী পুনর্নির্মাণ। সংলাপটি ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন এবং বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর রিজিওনাল স্টাডিজ আয়োজন করেছে। আজ সংলাপ শেষ হবে। বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সংলাপ প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য উভয় দেশের থিঙ্কট্যাঙ্ক এবং সুশীল সমাজসহ মূল স্টেকহোল্ডারদের একত্রিত করার একটি ফোরাম। ২০১৯ সালে কক্সবাজারে নবম দফা সংলাপের আয়োজন করা হয়েছিল। উদ্বোধনী অধিবেশনে আরও উপস্থিত ছিলেন, হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয় রাম ঠাকুর, ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রাজকুমার রঞ্জন সিং, রাম মাধব, সদস্য, গভর্নিং কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন।

            পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম এ অঞ্চলে এবং এর বাইরেও শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকারের অটল অঙ্গীকারের ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নীতির দ্বারা পরিচালিত, বাংলাদেশ শান্তি ও স্থিতিশীলতায় বিশ্বাস করে, যাতে প্রতিটি দেশ তার নিজস্ব জনগণের কল্যাণে অগ্রসর হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ কাজে তার সম্পদ ও শক্তি উৎসর্গ করতে পারে। মানুষে মানুষে যোগাযোগের বিষয় ইতিবাচক আখ্যা দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এক্ষেত্রে নীতিনির্ধারক, গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের ভূমিকা অনন্য। বাংলাদেশের চিত্তাকর্ষক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রতিফলন করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটি বাংলাদেশের অংশীদারদের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করে।
সংলাপে আরো অংশ নিয়েছেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী এমপি, মির্জা আজম এমপি, অসীম কুমার উকিল এমপি, ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরানসহ একটি প্রতিনিধি দল।

খবরটি 358 বার পঠিত হয়েছে


আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Follow us on Facebookschliessen
oeffnen