পযর্টন ডেস্ক: ভারতের উত্তর সিকিমের মঙ্গন জেলার সাংলাফু চো (লেক) খুলে দেওয়া হলো সর্বসাধারণের জন্য। সম্প্রতি ধর্মীয় রীতি মেনে আনুষ্ঠানিকভাবে এ লেক উদ্বোধন করলেন স্থানীয় বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা। গরমের ছুটিতে সিকিম যাবেন। গ্যাংটক, পেলিং, লাচুং, ইয়ুমথাং, ইয়াকসাম সব হয়তো ভ্রমণ করেছেন আগে। এখন ভাবছেন, নতুন কোথায় যাবেন।

            পর্যটকদের জন্য সুখবর: সমতল থেকে প্রায় ১৬ হাজার ৬৭০ ফুট উঁচুতে, ‘জিরো পয়েন্ট’ থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরে, লাচুং এর কাছে অবস্থিত নতুন এ পর্যটন কেন্দ্র অচিরে ভ্রমণপিপাসুদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে। স্থানীয়রা এ আশা করছেন। স্থানীয়দের কাছে ‘গ্রেট লেক’ নামে পরিচিত এ পর্যটন কেন্দ্র। বরফে ঢাকা পাহাড়ি দুর্গম পথ পেরিয়ে সাধারণ মানুষের এ লেকে পৌঁছনো সহজ ছিল না। তীর্থ করতে যাওয়ার মতো স্থানীয়রা মাঝেমধ্যে পবিত্র সে লেকের ধারে প্রার্থনা করতে যেতেন। নিয়মিত সেখানে যাওয়ার মতো সুযোগ সুবিধার অভাব ছিল।

সাধারণ মানুষ তো বটে, পর্যটকদের জন্য সাংলাফু লেক খুলে দেওয়ায় উচ্ছ্বসিত সেখানকার বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা। এ লেক উদ্বোধনের আগে লাচুং এর সামতেন চোলিং বৌদ্ধ গুম্ফার সন্ন্যাসীরা এক বিশেষ প্রার্থনাসভার আয়োজন করেছিলেন। সে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন স্থানীয় মানুষ থেকে হোটেল ব্যবসায়ী সংগঠনের সদস্য এবং গাড়িচালকরা।

            শহুরের কোলাহল থেকে মুক্তি পেতে শান্ত, নিরিবিলি পরিবেশে কয়েকটি দিন কাটিয়ে আসতে পারেন এ জায়গাটিতে। তবে শর্ত আছে। ঘুরতে যাবেন, আনন্দ করবেন। কিন্তু সেখানকার পরিবেশ নষ্ট করা যাবে না। লেকের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা পর্যটকদের দায়িত্ব। এখানে ঘুরতে গেলে ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক কিংবা টেট্রা প্যাক ব্যবহার করা নিষেধ। লেকের আশপাশে থুতু ফেলা একেবারে নিষেধ।

            সিকিমের উত্তর পূর্ব অংশে ৬ হাজার ২২৪ মিটার উচ্চতায় রয়েছে সাংলাফু পিক। এটি ডোক্যা রেঞ্জের অন্তর্গত। এর ঠিক পশ্চিম দিকে গুরুদংমার হিমবাহ থেকে গুরুদংমার লেক পর্যন্ত পানি বয়ে গিয়েছে। যার উৎস মূলত তিস্তা নদী। এ লেকের ঠিক বিপরীতে রয়েছে গুরুদংমারের মূল সামিট। দক্ষিণ দিকে রয়েছে লাচুং লেক।

খবরটি 511 বার পঠিত হয়েছে


আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Follow us on Facebookschliessen
oeffnen