স্বাস্থ্য ডেস্ক: ইউরোপের দেশ নেদারল্যান্ডসে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণের অনুমতি পেয়েছেন ২৯ বছর বয়সী এক তরুণী। জোরায়া বিক নামের এ তরুণী ২০২০ সালে স্বেচ্ছায় মৃত্যুর আবেদন করেন। দীর্ঘ চার বছর পর চলতি বছরের মে মাসে তিনি অনুমতি পেয়েছেন। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করবেন তিনি। জোরায়া বিক মানসিক রোগে ভুগছেন। তার মধ্যে সব সময় বিষন্নতা, হতাশা, ভয় কাজ করে। এ কারণে ইচ্ছে করে তিনি দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে চলে যেতে চান। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি চাইলে যে কোনো মুহূর্তে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে পারবেন।
কীভাবে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করবেন এ তরুণী: কীভাবে মৃত্যু হবে এবং কোন প্রক্রিয়ায় এটি সম্পন্ন করা হবে সেটি নিজে জানিয়েছেন এ তরুণী। তিনি বলেছেন, তারা প্রথমে ঘুমের ওষুধ দিয়ে শুরু করবে। যতক্ষণ পর্যন্ত আমি কোমাতে না যাচ্ছি ততক্ষণ পর্যন্ত আমাকে হার্টের কার্যকারিতা বন্ধের ওষুধ দেওয়া হবে না। আমার জন্য বিষয়টি এমন হবে যেন আমি ঘুমিয়ে পড়েছি। আমার পার্টনার (প্রেমিক) আমার সঙ্গে সেখানে থাকবে। তাকে আমি বলেছি আমার মৃত্যুর আগ মুহূর্তে সে চাইলে বাইরে বের হয়ে যেতে পারবে। মৃত্যুর প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে এ তরুণীর বাড়িতে চিকিৎসক উপস্থিত থাকবে।
নেদারল্যান্ডসের এ তরুণী জানিয়েছেন, তিনি তার রোগের জন্য সব ধরনের চিকিৎসা নিয়েছেন। কিন্তু কোনো উন্নতি না হওয়ায় তিনি স্বেচ্ছায় মৃত্যুর আবেদন করেন। তিনি জানান, মৃত্যুর কথা চিন্তা করলে তার ভয় লাগে। অপরদিকে পরিবারের কথা চিন্তা করলে খারাপ লাগে। তিনি সব জেনে বুঝে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
নেদারল্যান্ডসে ২০০২ সাল থেকেই স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণের আইন রয়েছে। তবে স্বেচ্ছায় মৃত্যবরণে যারা আগ্রহ দেখান তাদের কঠোর প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। এছাড়া যে সকল ব্যক্তি কঠিন রোগে ভুগছেন এবং সেরে ওঠার কোনো সম্ভাবনা নেই তারাই কেবল স্বেচ্ছায় মৃত্যুর অনুমতি পেতে পারেন।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান