বিশেষ খবর ডেস্ক: বাংলাদেশের সীমান্ত অতিক্রম করে পর্যায়ক্রমে অস্ত্রসহ পালিয়ে এসেছে মিয়ানমারের দেশটির ৩০০ অধিক সেনা ও বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের সীমান্তে প্রবেশ করে মিয়ানমারের সেনা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ বিজিপি। বিজিবি তাদের নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয় দিয়েছে। এর মধ্যে আহত ১৫ জন সদস্যের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সম্প্রতি জোরোলো অভিযান শুরু করেছে আরকান আর্মিসহ দেশটির বিদ্রোহী গ্রুপগুলো। ফলে দেশটির বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে সীমান্ত এলাকাগুলোতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বা যুদ্ধ চলছে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষে প্রাণহানি এড়াতে পর্যায়ক্রমে অস্ত্রসহ পালিয়ে এসেছে মিয়ানমারের দেশটির সেনা ও বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)। গত সপ্তাহ থেকে বাংলাদেশ সীমান্তে সংঘর্ষ ভয়ংকর রূপ নিয়েছে। দুপক্ষের ছোড়া গুলি ও মর্টার শেল এসে পড়ছে বাংলাদেশের ভেতরে। বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় হতাহত হচ্ছে। এলাকাবসীদের নিরাপদ স্থানে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

            অপরদিকে মিয়ানমারের বিদ্রোহী সশস্ত্র বাহিনী এবং সামরিক সরকারের মধ্যে সংঘর্ষের তীব্রতা বেড়ে চলেছে। এর মধ্যে গত কয়েক দিনে বিদ্রোহীদের তাড়া খেয়ে ভারতের মিজোরামে মিয়ানমারের ৬০০ সেনা ঢুকেছে। গত কয়েক সপ্তাহে দেশটির বহু সেনা উত্তরপশ্চিম সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন।

            ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি প্রতিবেদনে জানায়, সংঘর্ষের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় মিয়ানমার সেনাবাহিনীর প্রায় ৬০০ সদস্য সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ করেছে। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি সামরিক বাহিনীর ক্যাম্পগুলো দখল করায় জান্তা সদস্যরা মিজোরামের লংটলাই জেলায় আশ্রয় নিয়েছে। তাদের আসাম রাইফেলস ক্যাম্পে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।কেন্দ্রীয় সরকারকে অবগত করে মিয়ানমার জান্তা সদস্যদের দ্রুত ফেরত পাঠানোর তাগিদ দিয়েছে মিজোরাম সরকার।

            মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ) এবং সামরিক সরকারের মধ্যে সংঘর্ষ ক্রমে বেড়ে চলছে। উত্তর মিয়ানমারের তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠী মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ), তা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) এবং আরাকান আর্মির (এএ) সমন্বয়ে গঠিত ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স’ গত বছরের অক্টোবর থেকে জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মিলিত লড়াই শুরু করে। গত ২৭ অক্টোবর থেকে জান্তার সঙ্গে শুরু হওয়া সফলভাবে সমাপ্ত অভিযানে এ জোটের পক্ষে লড়াই করেছে বামা পিপলস লিবারেশন আর্মি (বিপিএলএ), কমিউনিস্ট সংগঠন পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) এবং মান্দালায় পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (এমএনডিএফ)। এরপর থেকে বেকায়দায় দেশটির ক্ষমতাসীন সামরিক সরকার।

খবরটি 429 বার পঠিত হয়েছে


আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Follow us on Facebookschliessen
oeffnen