ব্রেকিং নিউজ:

পযর্টন ডেস্ক: পৃথিবীতে এমন অনেক জায়গা আছে যার রহস্য হাজার বছর পেরিয়ে গেলে সমাধান হয়নি। এমন একটি দ্বীপ রয়েছে যেখানে যাওয়ার পর কোন মানুষ জীবিত ফিরে আসে না। ইতালির এ দ্বীপের নাম পোভেগ্লিয়া দ্বীপ। ৫৪ বছর ধরে পুরোপুরি বন্ধ বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ংকর দ্বীপ পোভেগ্লিয়া। ১৯৩০ সাল পর্যন্ত এখানে একটি হাসপাতাল ছিল। কিন্তু তখন এর পরিচালক একটি উঁচু টাওয়ার থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেন। এরপর দ্বীপ নিয়ে নানান কথা বেরিয়ে আসতে থাকে, তারপর তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।পোভেগ্লিয়া দ্বীপে একটি বিলাসবহুল রিসোর্ট নির্মাণের কথা বলা হয়েছিল। বলা হয়েছিল যে ব্যবসায়ী লুইজি ব্রুগনারো এই জায়গাটির উন্নয়নে আগ্রহী। কিন্তু তারপর চুক্তি অসম্পূর্ণ থেকে যায়। পোভেগ্লিয়া দ্বীপ এখনও নির্জন এবং ভীতিকর।

            জানা যায়, মৃত্যু দ্বীপটি এক সময় তার সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত ছিল। এ দ্বীপটি জনশূন্য অবস্থায় পড়ে আছে। এ দ্বীপের নাম পোভেগ্লিয়া। ইতালির দুটি শহর ভেনিস এবং লিডোর মধ্যে অবস্থিত। মনে করা হয় ১৪ শতকে এখানে প্লেগের কারণে প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল। এখানে অনেক মৃত্যু হয়েছে, কারণ ব্ল্যাক ডেথের সন্দেহ ভাজন লোকদের ভেনিসে প্রবেশের আগে এখানে আলাদা করে রাখা হয়েছিল। আরবান এক্সপ্লোরারদের ম্যাট নাদিন এবং অ্যান্ডি থম্পসন পোভেগ্লিয়া দ্বীপে একটি ভিডিও তৈরি করেছেন। তিনি ২০২০ সালের অক্টোবরে ইউটিউবে পোস্ট করেছিলেন। ভিডিওতে তিনি সেখানকার বর্তমান অবস্থা দেখিয়েছেন। তিনি বলেছিলেন, এ দ্বীপটি খুবই ভয়ংকর।

            ১৯২২ সালে, দ্বীপের ভবনগুলো মানসিক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের আশ্রয়ের জন্য রাখা হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসকরা রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। এরপর বেশ কয়েকজন চিকিৎসক মারা যান। ধ্বংস প্রাপ্ত ভবনগুলোর চারপাশে এখনো ডাক্তারের অপারেশনের যন্ত্রাংশগুলো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। এর পর এখানে একটি নার্সিংহোম চালু হয়। কিন্তু ১৯৬৮ সালে তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। গত ৫৪ বছর ধরে, পোভেগ্লিয়া দ্বীপ এবং এখানে উপস্থিত হাসপাতালটি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রয়েছে। এখানকার ভবনগুলো ক্ষয়িষ্ণু ও পচে গেছে। ২০১৫ সালে, দ্বীপটি পুনর্নির্মাণের চেষ্টা করা হয়েছিল।

খবরটি 848 বার পঠিত হয়েছে


আপনার মন্তব্য প্রদান করুন