বিশেষ খবর ডেস্ক: দেশের সব রেললাইন পর্যায়ক্রমে ব্রডগেজ-ডুয়েলগেজে রূপান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। তিনি বলেছেন, বিশ্বে এখন আধুনিক রেল ইঞ্জিন ও কোচ তৈরি হচ্ছে। মিটারগেজ ইঞ্জিন কোচ তৈরি পাওয়া যায় না। বিশেষ অনুরোধে এসব ক্রয় করতে হয়। তাছাড়া মিটার গেজ ট্রেনের যন্ত্রাংশও খুব একটা পাওয়া যায় না। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় রেলে বর্তমান সব প্রকল্পই ব্রডগেজ, ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। এদিকে গৃহীত পরিকল্পনা অনুযায়ী, পূর্বাঞ্চল রেলে ব্রডগেজ ট্রেন পরিচালনা করা সম্ভব হবে অন্তত ৭ থেকে ১০ বছর পর। তবে আগামী বছর আখাউড়া-কুমিল্লা পযর্ন্ত ৪৮ কিলোমিটার ব্রড ও ডুয়েল গেজ লাইন  স্থাপন সমাপ্ত হলে এ পথের পুরোটাই ডাবল লাইন হবে। ফলে এ পথে অতিরিক্ত আরও অন্তত ১২টি আন্তঃনগর ট্রেন পরিচালনা সম্ভব হবে। এতে সময় কমে আসবে প্রায় ১ ঘন্টা থেকে দেড় ঘন্টা।

            রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, যেসব লাইন মিটারগেজ রয়েছে, সেগুলো ভেঙে কিংবা রূপান্তর করে ব্রডগেজ, ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন নির্মাণ করা হবে। ইতোমধ্যে মিটারগেজ লাইন ডুয়েলগেজে রূপান্তর করা হচ্ছে। ব্রডগেজে ট্রেন ১০০ থেকে ১৪০ কিলোমিটার গতি নিয়ে চালানো যায়। এসব ট্রেন ও লাইনে দুর্ঘটনাও কম। আর মিটারগেজ ট্রেস ও লাইনে উনিশ থেকে বিশ হলেই দুর্ঘটনা ঘটে। ঢাকা-চট্টগ্রাম ৩২১ কিলোমিটার রেলপথের ৭২ কিলোমিটার ব্রড ও ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন প্রকল্পের ২৪ কিলোমিটার লাইন শুভ উদ্বোধন হচ্ছে শনিবার। রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন এ ডুয়েলগেজ উদ্বোধন করবেন।

            এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমরা আখাউড়া থেকে লাকসাম পযর্ন্ত ৭২ কিলোমিটার  ব্রডগেজ, ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন নির্মাণ করছি। শনিবার এর ২৪ কিলোমিটার উদ্বোধন করা হবে। বাকি অংশ আগামী বছরের জুনের মধ্যেই  সমাপ্ত হবে। আখাউড়া-সিলেট ডুয়েলগেজ লাইণ নির্মাণ প্রকল্প চলমান রয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম লাইনে বাকি অংশও ব্রডগেজ ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন নির্মাণ করা হবে। ইতোমধ্যে সমীক্ষা শেষ হয়েছে, দ্রুতই মূল কাজ শুরু হবে। মিটারগেজ লাইন পুরোপুরি ভেঙে না ফেলে ডুয়েলগেজ লাইনে রূপান্তরের প্রকল্প নেয়া হচ্ছে।

 

খবরটি 392 বার পঠিত হয়েছে


আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Follow us on Facebookschliessen
oeffnen