আন্তর্জাতিক ডেস্ক: করোনা ভাইরাসের তা-বে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীরা এককালীন সর্বোচ্চ ১০ হাজার ডলার করে ঋণ পাবেন। ঋণের বিপরীতে দেওয়া এই অর্থ প্রকৃত অর্থে ফেরত দিতে হবে না। ক্ষুদ্রঋণের এ সুবিধা পাবেন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ১০ সহস্রাধিক বাংলাদেশিও।

গত মার্চে মার্কিন কংগ্রেসে পাস হওয়া বিধি অনুযায়ী ‘কভিড-১৯ ইকোনমিক ইনজুরি ডিজেস্টার লোন (ইআইডিএল) কর্মসূচিতে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মধ্যে এই ঋণ বিতরণের দরখাস্ত ১৫ এপ্রিল শুরুর এক সপ্তাহের মধ্যেই বরাদ্দকৃত অর্থ শেষ হয়ে যায় বলে ব্যাংকগুলো জানালে, সেই প্রক্রিয়া থমকে দাঁড়িয়েছিল। এ নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার  পর ওই খাতে কংগ্রেস আরও অর্থ বরাদ্দে সম্মত হওয়ায় ১৫ জুন থেকে সেই কর্মসূচিতে পুনরায় দরখাস্ত গ্রহণের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ওয়াশিংটন ডিসিসহ সব স্টেটের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা এ সুযোগ পাবেন। করোনায় বিপর্যস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঘুরে দাঁড়াতে বিশেষ এই ঋণ কর্মসূচি চালু করা হয়েছে বলে ফেডারেল প্রশাসনের সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়েছে। এই কর্মসূচিতে নিউইয়র্ক, নিউজার্সি, পেনসিলভেনিয়া, কানেকটিকাট, ভার্জিনিয়া, ম্যারিল্যান্ড, মিশিগান, ইলিনয়, ফ্লোরিডা, টেক্সাস, জর্জিয়া, ক্যালিফোর্নিয়া প্রভৃতি স্টেটে ১০ হাজারের অধিক বাংলাদেশি ব্যবসায়ী উপকৃত হবেন। সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, ঋণের বিপরীতে নেওয়া এই অর্থ কখনই ফেরত দিতে হবে না।

কৃষিজ ব্যবসার মধ্যে রয়েছে খাদ্য এবং খাদ্য জাতীয় পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান, গরু-ছাগল-হাঁস-মুরগি পালনের খামার, মৎস্য খামার, এবং কৃষি উৎপাদনের অন্যান্য খামার/ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। তবে এসব খামার/ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কর্মচারী কোনোভাবেই ৫০০ জনের বেশি হলে আবেদন করতে পারবে না। এরই মধ্যে যারা আবেদন করেছেন, সেগুলো এখন আগে এলে আগে বিবেচনা হবে ভিত্তিতে বাছাই করা হচ্ছে। তাদের পুনরায় আবেদনের প্রয়োজন নেই বলে সার্কুলারে বলা হয়েছে।

খবরটি 645 বার পঠিত হয়েছে


আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Follow us on Facebookschliessen
oeffnen