তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে স্মার্টফোনে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ই-সিম প্রযুক্তি। ক্যালেইডো ইন্টেলিজেন্সের এক গবেষণায় এ তথ্য জানিয়েছে। আগামী পাঁচ বছরে বিশ্বব্যাপী ৭৫ শতাংশ স্মার্টফোনে থাকবে ই-সিম সুবিধা। গত বছর যেখানে মাত্র ৫০ কোটি ডিভাইসে ই-সিম ছিল, সেখানে ২০৩০ সালের মধ্যে এ সংখ্যা ৪৫০ কোটিতে পৌঁছাবে এটি জানাং সংস্থাটি। শুধু স্মার্টফোন নয়, ইন্টারনেট অব থিংস ডিভাইসের জন্য বিশেষ ই-সিম চালু হচ্ছে। যা প্রযুক্তির এক নতুন যুগের সূচনা করছে।
এক গবেষণায় বলছে, ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বজুড়ে ই-সিম কানেকশন হবে প্রায় ৪৫০ কোটি। এর পেছনে মূল ভূমিকা রাখছে ফাইভজি নেটওয়ার্কের বিস্তার, ব্যবহারকারীদের সুবিধা ও স্মার্ট ডিভাইসের চাহিদা।
সম্প্রতি চীনের সরকার ই-সিম সংক্রান্ত বিধিনিষেধ শিথিল করেছে। এর ফলে চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে চীনের বাজারে আসছে ই-সিম চালিত স্মার্টফোন। চীনে ই-সিমের বিস্তার হলে বিশ্ববাজারে এর গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়বে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ই-সিম প্রযুক্তির সাফল্যের অন্যতম কারণ হলো ফাইভজি নেটওয়ার্কের দ্রুত বিস্তার। এটি দ্রুত ও নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেট কানেকশন নিশ্চিত করছে। যা স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের জন্য অত্যন্ত কার্যকর। পাশাপাশি পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি হিসেবে ই-সিম ভবিষ্যতে আরও টেকসই সংযোগের পথ দেখাবে।
ই-সিম (ইলেকট্রনিক সিম) হলো একটি ডিজিটাল সিম কার্ড যা সরাসরি ডিভাইসের মধ্যে সংযুক্ত থাকে। এটি স্মার্টফোন, স্মার্টওয়াচ, ট্যাবলেট ও এলওটি ডিভাইসে ব্যবহারযোগ্য। ফিজিক্যাল সিম কার্ড ছাড়া নম্বর পরিবর্তন বা অপারেটর বদলানো যায় খুব সহজে। পরিবেশ বান্ধব ও ঝামেলাহীন প্রযুক্তি হিসেবে এটি বিশ্বজুড়ে দ্রুত জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।