জাতীয় ডেস্ক: নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) আহসান হাবিব খান বলেছেন, একজন ভোটার নির্বিঘ্নে নির্ভয়ে বাড়ি থেকে ভোটকেন্দ্রে যাবে এবং ভোট প্রদান করবে সেই পরিবেশ সৃষ্টি করার দায়িত্ব আমাদের। যেখানে ঝামেলা আছে সেখানে সমাধান করা হবে। প্রয়োজনে সেনাবাহিনী কাজ করবে, টহল দেবে। অংশগ্রহণমূলক, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। আমরা আমাদের শ্রেষ্ঠটা দিয়ে চেষ্টা করছি। আমাদের সাফল্য অনিবার্য। প্রধান অতিথির বক্তব্য এ কথা বলেন ব্রিগেডিয়ার আহসান হাবিব। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

            নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেন, নতুন আইন করা হয়েছে। নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকদের ক্যামেরা কেউ ভাঙচুর করলে দুই থেকে সাত বছরের জেল হবে। সাংবাদিকদের কার্যবান্ধব এবং সহযোগী হিসেবে রাখার জন্য সব সুযোগ রয়েছে। সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে কাজ করবে। যখন ভোট গণনা হবে, সেটা ভিডিও করতে পারবে সাংবাদিকরা। এর চেয়ে বেশি স্বচ্ছতা কী হতে পারে। সাংবাদিক হিসেবে আপনারা সঠিক জিনিসটা প্রকাশ করবেন। এতে নির্বাচন কর্মকর্তারা সচেতন ও সতর্ক হবে। তিনি আরও বলেন, সব প্রার্থী আমাদের কাছে সমান। ভোটাররা পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবে। কেউ ঝামেলা করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অসদাচরণের জন্য প্রার্থিতা বাতিল হতে পারে। নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, অনিয়ম করলে ছাড় নয়। ভোটকেন্দ্রের বাইরে কেউ ঝামেলা করলে পুলিশ অ্যাকশন নেবে। বিশৃঙ্খলা করার সুযোগ নেই, সে সুযোগ আমরা দেব না। কোথাও অনিয়ম হলে সে কেন্দ্রের ভোট বন্ধ হবে। তদন্ত সাপেক্ষে দায়িত্বরতদের সাসপেন্ড করা হবে, অ্যাকশন নেওয়া হবে। আমাদের কাছে কোনো ছাড় নেই। আমরা জিরো টলারেন্স মন্ত্রে বিশ্বাসী। সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে মুঠোফোনে ও সরাসরি তার কথা হয়েছে। রাতের আঁধারে কেউ যদি হামলা অগ্নিসংযোগ করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

            দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক এহতেশাম রেজা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কর্মকর্তা, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তা, গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

খবরটি 440 বার পঠিত হয়েছে


আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Follow us on Facebookschliessen
oeffnen