জাতীয় ডেস্ক: ঢাকায় পল্টনে মহাসমাবেশ করার অনুমতি পায় বিএনপি। পুলিশের ২০ টি শর্তে মহাসমাবেশ করতে স্থান পায় পল্টন এলাকায়। পল্টনে বিএনপি মহাসমাবেশে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সংঘর্ষের ঘটনায় ২০০ জন আহত হয়। শনিবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এসব তথ্য জানান ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো: নাজমুল হক। তিনি বলেন, পল্টনের সমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় ১৩০ জন চিকিৎসা নিতে ঢামেকে এসেছেন। এর মধ্যে ৩৩ জন ভর্তি রয়েছেন। বাকিরা চিকিৎসা নিয়ে ছাড়পত্রসহ হাসপাতাল ছেড়েছে।

            অপরদিকেএ সংঘর্ষ বাড়তে থাকলে দৈনিক বাংলার মোড়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে এক পুলিশ কনস্টেবল নিহত হয়। সংঘর্ষে আহত হওয়ার পর পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত কনস্টেবলের নাম আমিরুল ইসলাম। তিনি মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার সেকেন্দার আলী মোল্লার ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার কে এন রায় নিয়তি। তিনি জানান, সংঘর্ষে একজন পুলিশ সদস্য মারা গেছেন।

            অন্যদিকে নয়াপল্টনে বিএনপি শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশে ‘আওয়ামী লীগ ও পুলিশের যৌথ হামলা চালিয়েছে’ এ অভিযোগ এনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নয়াপল্টনের মঞ্চ থেকে হ্যান্ডমাইকে হরতালের ঘোষণা করে। রবিবার (২৯ অক্টোবর) সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে বিএনপি। এর আগে দুপুর ২:৩০ টার দিকে পুলিশি বাধার মুখে বিএনপির নয়াপল্টনের মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। ধাওয়া খেয়ে নেতাকর্মীরা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। পরে নয়াপল্টন ও পুরানা পল্টন মোড় এবং আশপাশের অন্যান্য স্থানে বিএনপি-পুলিশ-আওয়ামী লীগ ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এসব ঘটনায় বিএনপির বহু নেতাকর্মীর পাশাপাশি পুলিশ ও সাংবাদিকরা আহত হয়েছে। পুলিশ দাবি করেছে, তাদের ৪১ জন সদস্য আহত হয়েছে।

            পুর্বে ঘোষনা কর্মসুচি শনিবার (২৮ অক্টোবর) নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সরকার পতনের এক দফা দাবিতে মহাসমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি। এতে অংশগ্রহণ করতে সকাল থেকে নয়া পল্টন এলাকায় বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত হন। যা ফকিরাপুল হতে বিজয়নগর পানির ট্যাংকি ও কাকরাইল মোড় পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। পরে দুপুর ১ টার পর কাকরাইল মোড়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশের পক্ষ হতে টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়া হয় এ অভিযোগ করেন বিএনপি কর্মীরা।

খবরটি 391 বার পঠিত হয়েছে


আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Follow us on Facebookschliessen
oeffnen