অর্থনীতি ডেস্ক: বহু প্রতীক্ষিত সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির দুয়ার খুলল। বৃহস্পতিবার (১৭ আগষ্ট) সকাল ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন।

            উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যা অঙ্গীকার করি সেটা রাখি। শুধু দলের জন্য না, বাংলাদেশের মানুষের জন্য করতে যাচ্ছি। সেটাই আমাদের জন্য আত্মতুষ্টির বিষয়। আমাদের সরকারি চাকরিজীবীরা পেনশন পান। যারা চাকরি করে না তারা তো পান না। কাজেই এটা সরকারি চাকরিজীবীর জন্য নয়। যারা সরকারি চাকরি করেন, বেতন পান, তাদের জন্য এটা প্রযোজ্য হবে না। সরকারি চাকরির বাইরে যে জনগোষ্ঠী, শুধুমাত্র তাদের জন্য এ ব্যবস্থাটা আমরা করেছি। এটা করে তারা সম্মানজনকভাবে বাঁচতে পারে। যার ফলে মানুষের মধ্যে যে বৈষম্য আছে সেটা দূর হবে। তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে যখন আমরা সরকারে এলাম, তখন সর্বজনীন মানুষের জন্য কী করতে পারি সে বিষয়ে চিন্তা করতে থাকলাম। ২০০৮ এ নির্বাচনী ইশতেহারে আমরা সর্বজনীন পেনশন স্কিমের সিদ্ধান্ত নিই। এটা করার জন্য যথেষ্ট সময় লাগে। তখন মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থা খারাপ ছিল। তখন মানুষের মাথাপিছু আয় ছিল নিম্নস্তরে। অধিকাংশ মানুষ দরিদ্র সীমার নিচে বাস করতো।

            উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো: তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অর্থবিভাগের সিনিয়র সচিব ফাতেমা ইয়াসমিন।

            সরকারি পেনশন স্কিম: শুরুতে চার শ্রেণির ব্যক্তি পেনশন কর্মসূচির আওতায় আসছেন। তারা হচ্ছেন প্রবাসী বাংলাদেশি, বেসরকারি চাকরিজীবী, অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের কর্মী ও অসচ্ছল ব্যক্তি। মাসিক চাঁদা ধরা হয়েছে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা আর সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। কর্মসূচি পরিবর্তন ও চাঁদার পরিমাণ বাড়ানোর সুযোগ আছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের জারি করা সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিধিমালা অনুযায়ী এ কর্মসূচিতে যুক্ত হলে ৬০ বছর বয়সের পর থেকে আজীবন পেনশন সুবিধা পাবেন গ্রাহক। চাঁদা পরিশোধের পর তিনি মারা গেলে তার নমিনি বা উত্তরাধিকারী পেনশন পাবেন ১৫ বছর। পেনশন কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইট চালু হয়েছে। ওয়েবসাইটের ঠিকানা www.upension.gov.bd। সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণ করে আপনার ভবিষ্যৎ আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। ওয়েবসাইটের ঠিকানায় পেনশন স্কিমগুলো সম্পর্কে প্রাথমিক তথ্য উল্লেখ করা আছে।

খবরটি 444 বার পঠিত হয়েছে


আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Follow us on Facebookschliessen
oeffnen