জাতীয় ডেস্ক: পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি সশরীরে স্বাধীন স্বদেশে ফিরে আসার পর আমাদের নব যুগের যাত্রা শুরু হয়। এরপর যা যা করণীয় ছিল, বঙ্গবন্ধু তার সাড়ে তিন বছরের শাসনকালে তা করে দিয়ে গেছেন। মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেছেন।

            পররাষ্ট্র মন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের জন্য অত্যন্ত সুন্দর একটি পররাষ্ট্রনীতি দিয়ে গেছেন। যত বড় আন্তর্জাতিক সংস্থা আছে, সেগুলোর সদস্য পদ দিয়ে গেছেন। এমনকি জাতিসংঘের সদস্য পদ দিয়ে গেছেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রতিটি পদক্ষেপ গ্রহণে অত্যন্ত দূরদর্শী ছিলেন। এ ধরনের ক্ষণজন্মা পুরুষ আমাদের সমাজে এসেছিলেন তাই আমরা একটা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র পেয়েছি। অনেকগুলো ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু এবং শেখ হাসিনার মধ্যে সাদৃশ্য আছে। তারা দুজন সাহসী ও দৃঢ়চেতা। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের রোডম্যাপ তৈরি করেছেন। আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ে তুলব। আর এটা অর্জনের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বড় দায়িত্ব রয়েছে। এ রোডম্যাপ বাস্তবায়নে আমাদের সহায়ক ভূমিকা পালন করতে হবে।

            পররাষ্ট্র মন্ত্রী আরো আব্দুল মোমেন বলেন, আমরা আমাদের দেশকে ইতোমধ্যে মর্যাদার আসনে নিয়ে এসেছি। তবে এতে আত্মতৃপ্ত হলে চলবে না। আমরা সে বাংলাদেশকে দেখতে চাই, যখন কোনো বাঙালি তার পাসপোর্ট নিয়ে কোনো বিদেশি মিশনে যাবে বিদেশিরা তখন তাকে ভিসা দিতে দ্বিধা করবে না। এমনকি বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়ে অন্যদেশে ভিসামুক্ত যাতায়াত করা যাবে।

            অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিন ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারিতে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বড় ভূমিকা ছিল। যা থেকে এ প্রজন্মের কূটনীতিকরা অনুপ্রাণিত হতে পারেন। এ ক্ষেত্রে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ফারুক চৌধুরীসহ তৎকালীন কূটনীতিকরা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে যে আবেগঘন বক্তৃতা দিয়েছিলেন, সেখানে গণহত্যা নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক তদন্তের কথা বলেছিলেন। যে কাজটি এখনো আমরা শেষ করতে পারিনি।

            আলোচনা সভার আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নতুন ভবনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।

খবরটি 341 বার পঠিত হয়েছে


আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Follow us on Facebookschliessen
oeffnen