পযর্টন ডেস্ক: খাগড়াছড়ির আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র নতুন রূপে সেজেছে। এই পর্যটন কেন্দ্রে দুই মাস আগে নতুন করে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। আলুটিলা পর্যটন এখন দিনে পাহাড়ের সৌন্দর্য আর সন্ধ্যে নামলে বর্ণিল আলোকসজ্জায় নৈসর্গিক হয়ে ওঠে। ভোরে মেঘের ছোটাছুটি। সকাল হলে সূর্যের রৌদ্রোজ্জ্বল হাসি। এ ধরনের মনোরম অপরুপ দৃশ্য কেবল অলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রে দেখা সম্ভব। এখন আগের চেয়ে অনেক আকর্ষণীয় আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র। আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রের প্রবেশমুখে নির্মাণ করা হয়েছে স্বর্ণতোরণ। পর্যটন কেন্দ্রের ভেতরে নির্মাণ করা হয়েছে ঝুলন্ত সেতু; যার দৈর্ঘ্য ১৮০ ফুট। ঝুলন্ত এই সেতু আলুটিলার দুই পাহাড়কে সংযুক্ত করেছে। এতে করে পর্যটকরা এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে যাতায়াত করতে পারছে। এই ব্রিজ পার হলেই নন্দন পার্ক, কুঞ্জছায়া ভিউ পয়েন্ট। রয়েছে নির্মীয়মাণ অ্যাম্ফিথিয়েটার ও খুমপুই রেস্ট হাউস। নতুন নান্দনিক স্থাপনা হওয়ায় খুশি পর্যটকরা। পর্যটকদের এ অপরুপ নান্দনিক সৌন্দর্য দেখে মনে হবে স্বপ্নের পাহাড়ের দার্জিলি।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসনের কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন ও নির্মাণাধীন আরও কিছু স্থাপনা পর্যটন কেন্দ্র আলুটিলার চেহারা পাল্টে দিয়েছে। পর্যটকদের নতুন মাত্রায় মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে এ পর্যটন কেন্দ্রটি নান্দনিক রূপে হাজির হয়েছে। জেলা প্রশাসনের অর্থায়নে সাত কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে ঝুলন্ত ব্রিজ, নন্দনকানন পার্ক, কুঞ্জছায়া ভিউ পয়েন্ট ও স্বর্ণতোরণ। এছাড়া অ্যাম্ফিথিয়েটার ও খুমপুইরেস্ট হাউস নির্মাণের কাজ শেষ পযায়ে। এসব স্থাপনা নির্মাণের পর পর্যটকদের বাড়তি আর্কষণে পরিণত হয়েছে আলুটিলা।
খাগড়াছড়িতে অর্থনীতির অন্যতম প্রধান চালিকা শক্তি হতে পারে পর্যটন। সরকারি উদ্যোগর পাশাপাশি বেসরকারি ভাবে আলুটিলায় বিনোয়াগের সুযোগ রয়েছে। আলুটিলাকে ঘিরে ‘মাউন্টেন ট্যুরিজমের’ ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।