ব্রেকিং নিউজ:

ফিচার ডেস্ক: বাংলাদেশে জুলাই-আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তরুণদের নেতৃত্বে গঠিত নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপি আত্মপ্রকাশ করেছে। ঘোষণা করা হয়েছে এনসিপি দলের ১৫১ সদস্যের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি। আর এ নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপি আহ্বায়ক দায়িত্ব পেয়েছেন সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। আর সদস্যসচিব দায়িত্ব পেয়েছেন আখতার হোসেন।

            এনসিপি দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমির আহমেদ আলী কাসেমী, বিকল্পধারার নেতা মেজর (অব.) আব্দুল মান্নান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমেদ, লেবার পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ইসলামী ঐক্য জোটের সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন, বিএলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমেদ আবদুল কাদের।

            বাংলাদেশে নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপি: বাংলাদেশে নতুন এ রাজনৈতিক দলের নামের ইংরেজি রূপ ‘ন্যাশনাল সিটিজেনস পার্টি’ (এনসিপি)। জাতীয় নাগরিক পার্টি (সংক্ষেপে এনসিপি) হলো বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি কর্তৃক বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত একটি রাজনৈতিক দল। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাহিদ ইসলামকে আহ্বায়ক করে ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সালে রাজনৈতিক দলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি হচ্ছে বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রথম ছাত্র নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক দল ‘ন্যাশনাল সিটিজেনস পার্টি’ (এনসিপি)।

           বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আত্মপ্রকাশ করে। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে দলটির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে জুলাইয়ের শহিদ ইসমাইল হোসেন রাব্বির বোন মিম আক্তার দলটির নাম ঘোষণা করেন। একই সময় ঘোষণা করা হয় এনসিপি দলের ১৫১ সদস্যের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি। আহ্বায়ক করা হয়েছে সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামকে। আর সদস্য সচিব করা হয়েছে আখতার হোসেনকে।

            জাতীয় নাগরিক পার্টির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক হয়েছেন সামান্তা শারমিন ও আরিফুল ইসলাম আদীব। যুগ্ম আহ্বায়ক পদে আছেন ১৬ জন। তারা হলেন নুসরাত তাবাসসুম, মনিরা শারমিন, মাহবুব আলম, সারোয়ার তুষার, মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন, তাজনুভা জাবীন, সুলতান মুহাম্মদ জাকারিয়া, আতিক মুজাহিদ, আশরাফ উদ্দীন মাহাদী, অর্পিতা শ্যামা দেব, তানজিল মাহমুদ, অনিক রায়, খালেদ সাইফুল্লাহ, জাবেদ রাসিন, এহতেশাম হক ও হাসান আলী।

            জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব পদে দায়িত্ব পেয়েছেন তাসনিম জারা ও নাহিদা সারওয়ার নিভা। যুগ্ম সদস্যসচিব পদে আছেন ৩২ জন। তারা হলেন আবদুল্লাহ আল আমিন, আরিফ সোহেল, রশিদুল ইসলাম রিফাত, মাহিন সরকার, মো. নিজাম উদ্দিন, আকরাম হুসেইন, এস এম সাইফ মোস্তাফিজ, সালেহ উদ্দিন সিফাত (দপ্তরে সংযুক্ত), আলাউদ্দীন মোহাম্মদ, ফরিদ উদ্দিন, মো. ফারহাদ আলম ভূঁইয়া, মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া, লুৎফর রহমান, মো. মঈনুল ইসলাম (তুহিন), মুশফিক উস সালেহীন, জাহিদুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম মুসা, হুমায়রা নূর, মোশফিকুর রহমান জোহান, মোল্লা মোহাম্মদ ফারুক এহসান, সাগুফতা বুশরা মিশমা, আহনাফ সাইদ খান, আবু সাঈদ মোহাম্মদ সুজা উদ্দিন, মীর আরশাদুল হক, ফয়সাল মাহমুদ শান্ত, তারেক রেজা, মশিউর রহমান, জয়নাল আবেদীন শিশির, মুনতাসির রহমান, গাজী সালাউদ্দীন তানভীর, তামিম আহমেদ ও তাহসীন রিয়াজ।

            মুখ্য আরেকজন সংগঠকের (উত্তরাঞ্চল) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সারজিস আলমকে। উত্তরাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক হিসেবে আছেন সাইফুল্লাহ হায়দার, আলী নাছের খান, সাকিব মাহদী, আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, সাদিয়া ফারজানা দিনা, অলিক মৃ ও হানিফ খান সজীব।

উত্তরাঞ্চলের সংগঠকের পদে আছেন ১৮ জন। তারা হলেন- আসাদুল্লাহ আল গালিব, রাসেল আহমেদ, মেহেরাব সিফাত, ইমরান ইমন, আবু সাঈদ লিওন, ফরহাদ সোহেল, রফিকুল ইসলাম আইনী, আজাদ খান ভাসানী, দ্যুতি অরণ্য চৌধুরী, এস এম শোয়াইব, আব্দুল্লাহ আল মনসুর, মিয়াজ মেহরাব তালুকদার, মোস্তাক শিশির, নাহিদ উদ্দিন তারেক, শিরীন আক্তার শেলী, আবুল বাশার, আব্দুল্লাহ আল মুহিম ও প্রীতম সোহাগ। নতুন এই দলে মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ রয়েছেন।

            মুখ্য সংগঠকের (দক্ষিণাঞ্চল) দায়িত্বে আছেন হাসনাত আবদুল্লাহ। দক্ষিণাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মোহাম্মদ আতাউল্লা, মাহমুদা মিতু, মোল্লা রহমাতুল্লাহ, এস এম শাহরিয়ার ও জোবারের আরিফ। এছাড়া দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠকের পদে আছেন ২৬ জন। তারা হলেন আকরাম হোসাইন রাজ, হামজা মাহবুব, ওয়াহিদুজ্জামান, আসাদ বিন রনি, মোহাম্মদ রাকিব, আরমান হোসাইন, মো. রাসেল আহমেদ, মনজিলা ঝুমা, শওকত আলী, আশরাফুল ইসলাম সুমন, মুনতাসীর মাহমুদ, মিনহাজুল আবেদীন, সাকিব শাহরিয়ার, মেজবাহ কামাল মুন্না, সাকিল আহমাদ, ইমন সৈয়দ, আজিজুর রহমান রিজভী, আব্দুর রহমান, ফয়সাল আহমেদ, নয়ন আহমেদ, কাউছার হাবিব, রকিব মাসুদ, আব্দুল্লাহ আল মামুন ফয়সাল, আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জিহান, সানাউল্লাহ খান ও আরিফুল ইসলাম।

            যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়কের পদে রয়েছেন ১৪ জন। তারা হলেন মো. তারিকুল ইসলাম (যুব), আব্দুল আহাদ, দিলশানা পারুল, আবু হানিফ, আব্দুজ জাহের, মাজহারুল ইসলাম ফকির, গোলাম মোর্তজা সেলিম, আশেকীন আলম, জাহিদুল বারী, কৈলাশ চন্দ্র রবিদাস, ভীম্পাল্লী ডেভিড রাজু, শেখ মোহাম্মদ শাহ মঈনুদ্দিন, মারজুক আহমেদ ও সাদ্দাম হোসেন।

            এনসিপি পার্টিতে সদস্য পদে অভ্যুত্থানে আহত ও নিহত ব্যক্তিদের স্বজনসহ ৪৩ জনকে রাখা হয়েছে। সদস্যরা হলেন খোকন চন্দ্র বর্মন (আহত), মো. দুলাল খান (আহত), আব্দুল্লাহ শাফিল (আহত), কবির হোসেন (শহিদ জাবিরের বাবা), জারতাজ পারভিন (শহিদ আহনাফের মা), মো. আরিফুর রহমান তুহিন, মাহবুব আলম, মো. ফাহিম রহমান খান পাঠান, রাফিদ ভূঁইয়া, ইমরান নাঈম, মশিউর আমিন শুভ, আল আমিন শুভ, ওমর ফারুক, জোবায়ের হোসেন, আসাদুল ইসলাম মুকুল, ফিহাদুর রহমান দিবস, সাইদ উজ্জ্বল, আব্দুল্লাহ আল মুঈন, নাজমুল হাসান সোহাগ, ইমামুল হক রামিম, এস আই শাহীন, আসাদুজ্জামান হৃদয়, শ্যামলী সুলতানা জেদনি, তানহা শান্তা, মোস্তফা আল হোসেইন আকিল, কাউসার হাবিব, মশিউর রহমান, নেসার উদ্দিন, ইমরান শাহরিয়ার, আহসানুল মাহবুব জোবায়ের, নাহিদা বুশরা, আব্দুল্লাহিল মামুন নিলয়, আজাদ আহমেদ পাটওয়ারী, জাহিদুল ইসলাম সৈকত, ইমরান তুহিন, আবুল বাশার, আরজু আহমাদ, মোহাম্মাদ মনিরুজ্জামান, তাওহিদ তানজিম, তারিক আদনান মুন, তৌহিদ হোসেন মজুমদার, নফিউল ইসলাম ও নীলা আফরোজ।

            জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপি দলীয় আদর্শ: জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপি দলীয় আদর্শ মধ্যপন্থী ভাবধারায় পরিচালিত হবে। এ মধ্যপন্থী ভাবধারায় আদর্শ শব্দটি রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি বা অবস্থানকে বোঝায়। যা রাজনৈতিক বর্ণালীর মাঝখানে, বামপন্থী এবং ডানপন্থী অবস্থানের মধ্যে কোথাও পড়ে মধ্যপন্থী। রক্ষণশীল এবং উদারপন্থী দৃষ্টিভঙ্গির মিশ্রণ ধারণ করে এবং সাধারণ ভিত্তি খুঁজে পাওয়ার জন্য সমস্যাগুলিতে সমাধানে আপস করতে ইচ্ছুক হতে পারে। রাজনৈতিক পার্টি এনসিপি দলীয় আদর্শ বলা যায় সংস্কার। জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপি দলীয় আদর্শ বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ। বাংলাদেশে বসবাসরত বিভিন্ন ধর্মালম্বী মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রীষ্টান সব হল জাতিগোষ্ঠী। এ পার্টি এনসিপি দলীয় আদর্শ পরিস্কার; নয় মুসলিম, নয় বাঙ্গালী, আমরা সকলে বাংলাদেশী। নয় হিন্দু, নয় বৌদ্ধ, নয় খ্রীষ্টান, আমরা সকলে বাংলাদেশী। নয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, নয় আদিবাসী, নয় পাহাড়ি, নয় উপজাতি, আমরা সকলে বাংলাদেশী।

            উন্নত ও সম্প্রীতি বাংলাদেশ: সমৃদ্ধি ও সম্প্রীতি দুটি শব্দ একে অপরের উপর নির্ভরশীল।‘কাউকে পিছনে ফেলে নয় সকলকে নিয়ে উন্নয়নের কথা যেখানে উচ্চারিত হচ্ছে সেখানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা অনিবার্য। কারণ বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষ মানুষকে রাষ্ট্র ও সরকার সমান দৃষ্টিতে দেখবে এটা স্বাভাবিক। উন্নয়ন সমৃদ্ধির চাবিকাঠি। আর সম্প্রতি সহাবস্থানের প্রতীক। আমরা সকলে জানি, সমৃদ্ধ বাংলাদেশের অর্থনীতি হবে শক্তিশালী, দক্ষ কর্মী বাহিনী থাকবে এবং সকল নাগরিকের জন্য উচ্চ জীবনযাত্রার মান থাকবে। ‘আমাদের যেন বিশ্বের কাছে যেতে না হয়, বিশ্ব যেন আমাদের কাছে আসে। অনুগ্রহ ভিক্ষা করে দেশ পরিচালনা করব না বরং নিজেদের যোগ্যতায়, আত্মবিশ্বাসে সমৃদ্ধ ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ে তুলব। কাজেই প্রথম কাজ হচ্ছে আমাদের দেশের মানুষের রাজনৈতিক অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করা, জবাবদিহিতাকে প্রতিষ্ঠিত করা। বলাবাহুল্য, বিশ্বব্যাপী অনিশ্চয়তার সময়ে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের একটি শক্তিশালী রেকর্ড রয়েছে। অনিশ্চয়তা এবং ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ সত্ত্বেও, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং দারিদ্র্য হ্রাস প্রত্যক্ষ করেছে। ১৯৭১ সালে এ দেশ জন্মের সময় সবচেয়ে দরিদ্র দেশগুলির মধ্যে একটি থেকে বাংলাদেশ নিম্ন-মধ্যম আয়ের মর্যাদায় পৌঁছেছে। এখন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে পৌঁছাতে যাচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের ২০২৪ সালের অক্টোবরের প্রতিবেদন অনুসারে, আন্তর্জাতিক দারিদ্র্য সূচকের উপর ভিত্তি করে দারিদ্র্য ২০১০ সালে ১১.৮ শতাংশ থেকে কমে ২০২২ সালে ৫.০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। একইভাবে, আন্তর্জাতিক দারিদ্র্য রেখার উপর ভিত্তি করে (২০১৭ সালের পিপিপি ব্যবহার করে) মাঝারি দারিদ্র্য ২০১০ সালে ৪৯.৬ শতাংশ থেকে কমে ২০২২ সালে ৩০.০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। তাছাড়া, মানবসম্পদ উন্নয়নের ফলাফল অনেক দিক দিয়ে উন্নত হয়েছে। শিশুমৃত্যু এবং স্থুলতার হার হ্রাস, সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি এবং বিদ্যুতের অ্যাক্সেস। এ অগ্রগতি সত্ত্বেও, গ্রামীণ এলাকায় বৈষম্য কিছুটা কমেছে এবং শহরাঞ্চলে আরও বেড়েছে।

            এনসিপি দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, সারা দেশের মানুষের কাছে আহ্বান থাকবে তরুণরা যে দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছে, আপনারা সবাই দোয়া করবেন। যেন, সৃষ্টিকর্তা তরুণদের স্বপ্নকে বাংলাদেশে বাস্তবায়ন করতে পারে। বাংলাদেশে যারা গণহত্যা চালিয়েছে, তরুণরা যাতে এ খুনী, গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের বিচার করতে সক্ষম হয়। বাংলাদেশের জনসাধারণ ৫৪ বছর পরে যে সুযোগ পেয়েছি। একটি নতুন সংবিধানের বাস্তবতা তৈরি হয়েছে। তরুণরা স্বপ্ন দেখে আগামীর বাংলাদেশ নতুন সংবিধানের মাধ্যমে পরিচালিত হবে এবং গড়ে উঠবে উন্নত ও সম্প্রীতি বাংলাদেশ। সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে গণপরিষদ নির্বাচনের দাবি জানান আখতার।

            গতকাল বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত জাতীয় নাগরিক পার্টি নতুন এ রাজনৈতিক দলের নাম ও অর্গানোগ্রাম (কাঠামো) নির্ধারণ এবং আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানের বিষয়ে রাজধানীর বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৈঠক হয়। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকাল সোয়া ৪টার দিকে জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করা হয়। এরপর পবিত্র গীতা, ত্রিপিটক ও বাইবেল থেকে পাঠ করা হয়। ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠের পর জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। পরে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এছাড়া, তারুণ্য নির্ভর জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশের অনুষ্ঠান স্থলে বিপুলসংখ্যক ছাত্র-জনতা উপস্থিত হন। রংপুর, খুলনা, নীলফামারী, জয়পুরহাট, রাজশাহী, কক্সবাজার ও বিভিন্ন জেলা থেকে মিছিল নিয়ে আগত ছাত্র জনতা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশের আয়োজনে সার্বিক নিরাপত্তায় দায়িত্বপালনে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এ আয়োজনকে কেন্দ্র করে মেডিকেল টিম, অস্থায়ী ওয়াশ রুম, পুলিশ বুথ, নারীদের জন্য বুথ, ভিআইপি বুথ ও পানির ব্যবস্থা করা হয়।

খবরটি 110 বার পঠিত হয়েছে


আপনার মন্তব্য প্রদান করুন