বিশেষ খবর ডেস্ক: ইসরায়েল সাথে ফিলিস্তিনের হামাসের যুদ্ধের শুরু থেকে নিহত ফিলিস্তিনিদের স্মরণে রাষ্ট্রীয় শোক পালন করবে বাংলাদেশ। আমাদের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। বৃহস্পতিবার তেজগাঁও সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের আওতায় ১৫০ টি সেতু, ১৪টি ওভার পাস, স্বয়ংক্রিয় মোটরযান ফিটনেস পরীক্ষা কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেছেন।

            শেখ হাসিনা বলেন, ইজরায়েল যেভাবে গাজায় হাসপাতালে বিমান হামলা করে ফিলিস্তিনি নারী-শিশুদের হত্যা করেছে। আমরা এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছি। আমাদের কথা হচ্ছে, দ্রুত এটা বন্ধ করতে হবে। ফিলিস্তিনিরা তাদের ন্যায্য জায়গা যেন ফেরত পায়, যে জায়গাগুলো দখল করছে তাদের দিতে হবে। সেখানে শুধু মুসলমান নয়, খ্রিষ্টান, ইহুদি অনেকে ছিল, যারা মারা গেছেন। আমি অনুরোধ করব আগামী শুক্রবার সারা বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মসজিদে যেন জুমার পরে এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে তাদের জন্য দোয়া এবং প্রার্থনা করা হয়। তিনি আরো বলেন, ফিলিস্তিনের আজকের যে শিশু ও নারী আহত রয়েছে, তাদের জন্য ইতোমধ্যে আমি আমার স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে বলে দিয়েছি ওষুধের ব্যবস্থা করতে। আমাদের অফিস থেকে যোগাযোগ করে তাদের জন্য কিছু শুকনো খাদ্য বা শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু পণ্য আমরা পাঠাবো। সে ব্যবস্থাটা আমরা নিচ্ছি। আমাদের যতটুকু সামর্থ্য থাকুক আমরা দুর্গত মানুষের পাশে আছি। গতকাল ওআইসি যারা রাষ্ট্রদূত আছে তাদের সাথে আমরা বৈঠকে বসেছি। সেখানে বলেছি, সকলকে এক হয়ে ফিলিস্তিনের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা তাদের সঙ্গে আছি। বারবার তাদের ওপর আঘাত হানা। এটা কখনও মেনে নেওয়া যায় না। এটা আমরা মানতে পারি না। আমরা যতটুকু পারি তাদের জন্য করব।

            ইসরায়েল সাথে ফিলিস্তিনের হামাসের যুদ্ধের শুরু থেকে এ পর্যন্ত হামাসের হামলায় নিহত হয়েছেন ১ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি। এছাড়া হামলার প্রথম দিন ইসরায়েল থেকে দেড় শতাধিক সামরিক, বেসামরিক ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিককে জিম্মি ধরে নিয়ে গেছে হামাস। তাদের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা এখন অজানা। অন্যদিকে, গত ১২ দিন ধরে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত বিমান হামলা ও বোমা বর্ষণে গাজায় নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪ হাজার ৪৭৮ জনে এবং আহত হয়েছেন ১০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।

খবরটি 379 বার পঠিত হয়েছে


আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Follow us on Facebookschliessen
oeffnen