ফিচার ডেস্ক: পার্বত্য এলাকা খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি উপজেলা থেকে পৃথিন্দ্র চাকমা ৪১ তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের মেধাক্রম তালিকায় ৩২১ তম হয়েছে। মহালছড়ি উপজেলার চিত্তরঞ্জন কার্বারী পাড়া নামে এক প্রত্যন্ত গ্রামে আমার জন্ম। বাবা প্রাইমারি বিদ্যালয়ের অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এবং মা গৃহিণী। পরিবারে দুই ভাইয়ের মধ্যে ছোট হওয়ায় ভালোবাসার কমতি ছিল না। চিত্তরঞ্জন কার্বারী পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আমার পড়াশোনার হাতেখড়ি। সর্বশেষ শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষি বিজ্ঞানে স্নাতক এবং কৃষি বনায়ন ও পরিবেশ বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর শেষ করি। যাপিত জীবনে নানা উত্থান পতনের সাক্ষী পৃথিন্দ্র। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করার পর ৬ টি চাকরির পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে প্রিলিমিনারি টপকাতে পারেননি তিনি। চাকরি না পেয়ে হতাশ হয়েছেন, কেঁদেছেন নিভৃতে। উন্মোচন করেছেন জীবনের বাঁকে বাঁকে ঘটে যাওয়া সফলতা ও ব্যর্থতার বিচিত্র অধ্যায়।

            উচ্চ শিক্ষা গ্রহন: পৃথিন্দ্র চাকমা সর্বশেষ শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষি বিজ্ঞানে স্নাতক এবং কৃষি বনায়ন ও পরিবেশ বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর শেষ করেন। দ্বিতীয় বর্ষ থেকে বিসিএস প্রিলি ও লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি একসঙ্গে নিয়েছে।

            বিসিএস সফলতা: বর্তমান চাকরির বাজারে বিসিএস ক্যাডারদের সবাই আলাদাভাবে মূল্যায়ন করে। বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডার হতে পারলে দেশের জন্য আরও বেশি অবদান রাখা যায়। এছাড়া কোটা বাতিল হওয়ার নিজেকে প্রমাণের চেষ্টা ছিল। সে সঙ্গে আমাদের গ্রামে কোনো বিসিএস ক্যাডার না থাকার বিসিএস বেছে নেওয়া। এছাড়া ম্যাজিস্ট্রেট শব্দটির প্রতি আলাদা একটা টান থেকে প্রশাসন ক্যাডার হওয়া। পরিশেষে একজন সিনিয়র সচিব হিসেবে দেখতে চাই। যদি কেউ বিসিএস জীবনের লক্ষ্য মনে করে তাহলে নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করতে হবে। জীবনে ব্যর্থতা না থাকলে কখনো সফলতা আসে না। সফলতা ও ব্যর্থতা একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। সাফল্য মানে ৯ বার পড়ে গিয়ে ১০ বার উঠে দাঁড়ানো। বিসিএস সিলোবাস সর্ম্পকে ভালো ধারণা থাকতে হবে। এরপর সিলেবাস ধরে সব বিষয় শেষ করতে হবে। প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষার পড়া একসঙ্গে পড়তে হবে। এতে অনেকটা এগিয়ে থাকা যায়। সর্বোপরি প্রতিটি মুহূর্তকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। ভাইভার জন্য নিজের জেলা, বিভাগ, পঠিত বিষয়, মুক্তিযুদ্ধ, সংবিধান ও পছন্দের প্রথম ১টি ক্যাডার ২-৩টি সর্ম্পকে খুব ভালো ধারণা থাকতে হবে। নার্ভাসনেস কাটানোর জন্যে প্র্যাকটিসের বিকল্প নেই। সর্বোপরি যেকোনো প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখতে হবে। এছাড়া সমসাময়িক বিষয় সর্ম্পকে ভালো ধারণা থাকা জরুরি।

            শৈশব স্মৃতি: মায়ের হাত ধরে প্রথম স্কুলে যাওয়া এবং পঞ্চম শ্রেণিতে বৃত্তি পরীক্ষা দেওয়ার জন্যে কনকনে শীতের মধ্যে আমাদের গ্রাম থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে গিয়ে বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ট্যালেন্টপুল বৃত্তি পাওয়া।

খবরটি 610 বার পঠিত হয়েছে


আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Follow us on Facebookschliessen
oeffnen