জাতীয় ডেস্ক: বাংলাদেশের রাষ্ট্র প্রধানের (রাষ্ট্রপতি) বঙ্গভবন সরকারি বাসভবন ও কার্যালয়। কে হচ্ছেন পরবর্তী রাষ্ট্র প্রধান, জানা যাবে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ আওয়ামী লীগ দল থেকে গত দুই মেয়াদে তিনি দেশের শীর্ষ পদ রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করছেন। আগামী ২৪ এপ্রিল মেয়াদ শেষ হচ্ছে রাষ্ট্রপতির। এর মধ্যে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে কে হচ্ছেন পরবর্তী রাষ্ট্রপতি, কার জন্য অপেক্ষা করছে বঙ্গভবন। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচনের মাধ্যমে চূড়ান্ত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতির নাম। সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল আওয়ামী লীগ, পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও দেশের সিনিয়র আইনজীবীরা।

বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, তিনবার রাষ্ট্রপতি হিসেবে কেউ থাকতে পারবেন না। সর্বোচ্চ দুবার থাকতে পারবেন দেশের শীর্ষ পদে। বর্তমান রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে অর্থাৎ আগামী ২৩ এপ্রিলের মধ্যে নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করতে হবে। সে হিসাবে খুব বেশি সময় নেই রাষ্ট্রপতি প্রার্থী নির্বাচন করার। এর মধ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ব্যাপারে আওয়ামী লীগ সরকারকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে

বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী। বর্তমান রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে অর্থাৎ আগামী ২৩ এপ্রিলের মধ্যে নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করতে হবে।

আলোচনায় অর্ধ ডজন আওয়ামী লীগ নেতার নাম। কে হচ্ছেন পরবর্তী রাষ্ট্রপতি এ নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলছে। রাষ্ট্রের শীর্ষ পদটির জন্য অনেকের নাম শোনা যাচ্ছে। কিন্তু কেউ এখন মুখ খুলছেন না।আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে জোর আলোচনা চলছে। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খাইরুল হক ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক প্রমুখের নাম।

আওয়ামী লীগ দলীয় সূত্র মতে, আগামী ২০২৪ সালের প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সে নির্বাচনে এখন পর্যন্ত বিএনপি অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে আস্থায় আনতে পারবেন এমন ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে বাছাই করতে চাচ্ছে ক্ষমতাসীনরা। অন্যদিকে, দলটির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা কোনো ‘রাজনৈতিক’ ব্যক্তিত্বকে এ পদে দেখতে চাচ্ছেন। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা এবং এ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। বিএনপির সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করায় শূন্য হওয়া ছয়টি আসনের উপনির্বাচন হবে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি। সে নির্বাচন শেষে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে কমিশন। এরপর নির্বাচন নিয়ে জাতীয় সংসদের স্পিকারের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন নির্বাচন কর্তাব্যক্তিরা। বৈঠকে তফসিল ও ভোট গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ হবে। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে এ বৈঠক হতে পারে।

সর্বশেষ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয় ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি। ওই বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি ভোটের তারিখ থাকলে একক প্রার্থী হওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচিত হন মো. আবদুল হামিদ। আবদুল হামিদ ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল দেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন। ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল দ্বিতীয় মেয়াদে ২১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ২৪ এপ্রিলের মধ্যেই ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে নতুন শপথ নেওয়ার কথা। বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতির পদটি ফের অলংকৃত করেন শেখ মুজিবুর রহমান। সে সময়ে তিনি বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) থেকে প্রার্থী হন।

খবরটি 400 বার পঠিত হয়েছে


আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Follow us on Facebookschliessen
oeffnen