জাতীয় ডেস্ক: আওয়ামী লীগের ২২ তম জাতীয় সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে ও সাদারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে নির্বাচিত ঘোষনা করে নির্বাচন কমিশন। শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে আগামী তিন বছরের জন্য আওয়ামী লীগের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করা হয়েছে। এ অধিবেশনে কাউন্সিলরদের মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন দলটির নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করে। আওয়ামী লীগের ২২ তম জাতীয় সম্মেলনে টানা দশম বারের মতো আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন শেখ হাসিনা।

            অন্যদিকে টানা তৃতীয় বারে আওয়ামী লীগের সাদারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের হ্যাটট্রিক করেছেন। ২০১৬ সালের ২০ তম কাউন্সিলে নির্বাচিত হয়ে দশম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন ওবায়দুল কাদের। ২০১৯ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে সাধারণ সম্পাদক হন ওবায়দুল কাদের।

            সভাপতি পদে শেখ হাসিনার নাম প্রস্তাব করেন উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু। সমর্থন করেন দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার। পরে কাউন্সিলররা তা উচ্চকণ্ঠে সমর্থন করেন। এ পদে দ্বিতীয় কোনো প্রার্থী না থাকায় আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন তাদের নির্বাচিত ঘোষণা করেন।

            সম্মেলনের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও প্রবীণ আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনকে চেয়ারম্যান করে তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। কমিশনের অপর দুই সদস্য হলেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান এবং উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সাহাবুদ্দিন চুপ্পু।

            এর আগে বিকেল ৩টায় সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনের উদ্বোধন করেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশনে সারা দেশ থেকে আসা প্রায় ৭ হাজার কাউন্সিলর অংশ নেন। তাদের মতামতের ভিত্তিতে দলটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়। তারা ৮১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করবেন।

            এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় শান্তির সাদা পায়রা উড়িয়ে আওয়ামী লীগের ২২ তম জাতীয় সম্মেলনের প্রথম পর্ব উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা। এদিন বেলা বাড়ার সঙ্গে নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সম্মেলন রূপ নেয় জনসমুদ্রে। সম্মেলনস্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কানায় কানায় পূর্ণ হয়। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, মৎস্যজীবী লীগ, শ্রমিক লীগ, মহিলা লীগ, যুব মহিলা লীগ, তাঁতি লীগ এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সারা দেশের সাংগঠনিক জেলা থেকেও নেতাকর্মীদের ঢল নামে সম্মেলনে।

খবরটি 344 বার পঠিত হয়েছে


আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Follow us on Facebookschliessen
oeffnen