স্বাস্থ্য ডেস্ক: সৈয়দপুরের বিভিন্ন এলাকায় কারখানা তৈরি করে দীর্ঘ দিন ধরে নকল ওষুধ উৎপাদন করে আসছিল একটি চক্র। এসব ওষুধ দেশের নামি দামি বিভিন্ন কোম্পানির নামে বাজারে বিক্রি করে আসছিল। স্কয়ার ও ইনসেপ্টার মতো কোম্পানির এসব ওষুধ বাজার ছাড়া হতো। দীর্ঘদিন নজরদারির পর মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর মতিঝিল এলাকা থেকে চক্রটির মূলহোতা মো: ইকবাল হোসেন ওরফে রানাকে (৩৬) গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) মতিঝিল বিভাগ। গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে ৩ লাখ পিস ভেজাল ঔষধ জব্দ করা হয়েছে। জব্দ হওয়া ওষুধের মধ্যে রয়েছে পেনটনিক্স ২০ এমজি, ২৫ হাজার ৪৮০ পিস, সেকলো ২০ এমজি, ৩৬ হাজার পিস, সারজেল ২০ এমজি, ৯২ হাজার পিস, ফিনিক্স ২০ এমজি, ১ লাখ ৮ হাজার ৫০০ পিস, লোসেক্টিল ২০ এমজি, ৩৬ হাজার পিস ও ইটোরিক্স ৫ হাজার ৪০০ পিস।

            ডিবি জানায়, চক্রটি বিভিন্ন প্রকার নকল ওষুধ তৈরি মধ্যে সব থেকে বেশি তৈরি করতো গ্যাস সংক্রান্ত সমস্যার নকল ওষুধ। সৈয়দপুরে তৈরি হওয়ার পর কুমিল্লা হয়ে এসব নকল ওষুধ সরাসরি ঢাকায় নামি দামি ফার্মেসিতে বিক্রি হতো। বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিবি প্রধান ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

            ডিবি প্রধান ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, মঙ্গলবার গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মতিঝিল থেকে মো. ইকবাল হোসেন ওরফে রানাকে একটি ওষুধের কার্টুনসহ গ্রেপ্তার করা হয়। কার্টুনের ভেতর কি আছে জানতে চাইলে তিনি ডিবিকে জানায় এর ভেতরে ওষুধ রয়েছে। পরে ডিবির টিম কার্টুন খুলে ভেতর থেকে কিছু নকল ওষুধ জব্দ করে। তিনি বলেন, নকল ওষুধ পাওয়ার পর ডিবি রানাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এসএ পরিবহনের ইংলিশ রোড শাখা থেকে দুই কার্টুন নকল ওষুধ জব্দ করা হয়। পরে তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করলে রানা জানায়, কুমিল্লায় তার একটি গোডাউন রয়েছে। এ তথ্যের ওপর কুমিল্লার গোডাউনে ডিবি অভিযান চালিয়ে ২ লাখ ৪১ হাজার ৯০০ পিস নকল ওষুধ জব্দ করে। তিনি আরও বলেন, মো: আতিয়ার নামে সৈয়দপুরের এক বাসিন্দার থেকে বিভিন্ন কুরিয়ার সার্ভিসের পার্সেলের মাধ্যমে নিয়মিত এসব নকল ওষুধ সংগ্রহ করতো রানা। এরপরে তিনি এসব নকল ওষুধ কুমিল্লার স্টেশন রোডের একটি গোডাউন রাখতো। এক পর্যায়ে সুবিধামতো সময় দেখে এসব নকল ওষুধ বিভিন্ন নামি দামি ওষুধ কোম্পানির নামে রাজধানীর বড় ফার্মেসিতে বিক্রি করে আসছিল। এছাড়া টাকার বিনিময়ে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন এলাকায় এসব নকল ওষুধ পাঠাতো রানা।

            গ্রেপ্তার রানার বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

খবরটি 496 বার পঠিত হয়েছে


আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Follow us on Facebookschliessen
oeffnen