বিশেষ খবর ডেস্ক: চার জেলায় বৃহস্পতিবার (১৯ মে) নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে কক্সবাজার জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (উপ-সচিব) শ্রাবস্তী রায়কে জামালপুরের জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। শ্রাবস্তী রায় হচ্ছেন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মধ্যে প্রথম নারী ডিসি। তিনি চাকমা সম্প্রদায়ের। তার জন্মস্থান রাঙ্গামাটি জেলায়। শ্রাবস্তী রায় এর আগে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার অফিসের স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক, রাঙ্গামাটি আঞ্চলিক পরিষদের সহকারী নির্বাহী কর্মকর্তা, সিলেটের দক্ষিণ সুরমা ও ধর্মপাশার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী থেকে একাধিক পুরুষ কর্মকর্তা ডিসি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে।

            শ্রাবস্তী রায় বিসিএস ২৪তম ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি কক্সবাজার জেলা পরিষদে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। শ্রাবস্তী রায় এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, বদলি ও পদায়ন প্রশাসনের একটি নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়। পাহাড়িদের মধ্যে প্রথম নারী জেলা প্রশাসক হিসেবে আমাকে পদায়নের জন্য আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। নারীদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করার সুযোগ প্রদান করার প্রধানমন্ত্রীর যে নির্দেশনা ছিল, সেই নির্দেশনা বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগসহ এই সিলেকশন বোর্ডগুলোতে যারা থাকেন তারা যে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েছেন, আমাদের কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন, এ জন্য আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। নতুন দায়িত্ব পালনের বিষয়ে তিনি বলেন, সরকারের নীতিনির্ধারণী বিষয় এবং নির্দেশনা থাকে। সেগুলো আমরা পালন করি। তথাপি যদি আমাদের আলাদা করে কাজ করার সুযোগ থাকে সেটা করব। বিশেষ করে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী যেমন প্রতিবন্ধী কিংবা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন যেসব মানুষ আছে, প্রান্তিক পর্যায়ে সুবিধাবঞ্চিত যেসব মানুষ আছে তাদের নিয়ে কাজ করার সুযোগ থাকলে আমি করব।

            এ বিষয়ে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ, পদোন্নতি ও প্রেষণ (এপিডি) অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আনিছুর রহমান মিঞা বলেন, শ্রাবস্তী রায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মধ্যে প্রথম নারী জেলা প্রশাসক। তিনি ভালো অফিসার বলেই তাকে জেলা প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, নারী-পুরুষের সমতা আনার বিষয়টি এসডিজির এজেন্ডা। শুধু এসডিজি বাস্তবায়নই নয়, আমরা যোগ্যতার বিচার করে নারী কর্মকর্তাদের পদায়ন করছি। একই সঙ্গে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর যারা মনে করেন তারা পিছিয়ে আছেন, তারা এতে আরও উৎসাহিত হবেন। নারীদের আরও বেশি করে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করবেন বলে আমরা মনে করি।

            সরকারের উপ-সচিব পদ মর্যাদার কর্মকর্তাদের জেলা প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়। জেলা পর্যায়ে ডিসিরা কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন। ডিসি জেলার সাধারণ প্রশাসনিক কার্যক্রম, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং কালেক্টর হিসেবে ভূমি ব্যবস্থাপনার বিষয়গুলো দেখেন। এছাড়া নির্বাচিত সরকারের বিশেষ কর্মসূচি এবং চলমান সব উন্নয়নমূলক কাজে জেলা প্রশাসক তদারকি করে থাকেন।

খবরটি 470 বার পঠিত হয়েছে


আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Follow us on Facebookschliessen
oeffnen