অর্থনীতি ডেস্ক: হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রের বন্ধ হওয়া ছয়টি কূপের মধ্যে চারটির চালু হয়েছে। অপর দুটি কূপ সচল করতে কাজ করছেন প্রকৌশলীরা। মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে শেভরন বাংলাদেশের মুখপাত্র শেখ জাহিদুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
সূত্রে জানা গেছে, দেশে দিনে ৩৭০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা থাকলেও শনিবার মোট গ্যাস সরবরাহ করা হয় ২৭৯ কোটি ঘনফুটের মতো। এর মধ্যে বিবিয়ানা থেকে সরবরাহ করা হয় ১১৫ কোটি ঘনফুট। রবিবার দুপুরের পর থেকে বিবিয়ানায় উৎপাদন প্রায় অর্ধেক কমে যায়। এতে বাসার চুলায়, শিল্প কারখানায় ও বিদ্যুৎকেন্দ্রে সরবরাহ কমতে থাকে। তবে বিদ্যুৎ উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে চেষ্টা করে যাচ্ছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)।

            শেখ জাহিদুর রহমান জানান, সোমবার একটি, মঙ্গলবার সকালে দুটি এবং সন্ধ্যায় আরও একটি কূপ চালু করা হয়েছে। এ নিয়ে বর্তমানে চারটি কূপ সচল রয়েছে। সচল হওয়া কূপ থেকে গ্যাস উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরও জানান, অবশিষ্ট দুটি কূপের কার্যক্রম ফিরিয়ে আনার জন্য অভিজ্ঞ প্রকৌশলীরা কাজ করছেন। আগামী দু’দিনের মধ্যে পাঁচ নম্বর কূপ চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তবে ছয় নম্বর কূপটি চালু হতে সময় লাগবে।

            হঠাৎ হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র থেকে গ্যাসের সঙ্গে বালু উঠে আসে। এ জন্য জরুরি ভিত্তিতে দুটি প্রসেস ট্রেন ও ছয়টি কূপের উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিবিয়ানা বর্তমানে দেশের সবচেয়ে বড় গ্যাস উৎপাদন ক্ষেত্র। হঠাৎ উৎপাদন বন্ধ হওয়ায় রবিবার দুপুরের পর থেকে ধীরে ধীরে গ্যাসের সরবরাহ কমতে থাকে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় রান্না করতে না পেরে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।

খবরটি 392 বার পঠিত হয়েছে


আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Follow us on Facebookschliessen
oeffnen