স্বাস্থ‍্য ডেস্ক: বিদেশফেরত যাত্রীদের মাধ্যমে দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বন্ধে শনিবার থেকে যাত্রীদের কোভিড-১৯ নেগেটিড সনদ বাধ্যতামূলক হচ্ছে। শুক্রবার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশনস বিভাগের এক নির্দেশনায় এই তথ্য জানানো হয়।

বেবিচকের সদস্য গ্রম্নপ ক্যাপ্টেন চৌধুরী মো. জিয়াউল কবীর স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়, এখন থেকে বাংলাদেশে আসার আগে সব যাত্রীকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পিসিআর ল্যাবে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করতে হবে। পরীক্ষায় করোনাভাইরাস নেগেটিভ সনদ আনা সাপেক্ষে যাত্রীরা বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি পাবেন। এছাড়া বিমানবন্দরে নামার সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যেক যাত্রীর শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষাসহ মেডিকেল স্ক্রিনিং করা হবে। সে সময় কারও দেহে করোনার লক্ষণ-উপসর্গ দেখা গেলে করোনার মুক্ত সনদ থাকলেও ওই যাত্রীকে কোভিড ডেডিকেটেড

হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ভর্তি, আইসোলেশন সেন্টারে পাঠানো বা ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। বিমানবন্দরে কর্মরতদের শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিতসহ যাত্রী, ক্রু, উড়োজাহাজ জীবাণুমুক্তকরণ প্রক্রিয়া যথাযথভাবে করতে নির্দেশ দিয়েছে বেবিচক।

নিদের্শনায় আরও বলা হয় বাহরাইন, চীন, সৌদি আরব, কুয়েত, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, ওমান, কাতার, শ্রীলংকা, সিঙ্গাপুর, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও যুক্তরাজ্যে চলাচল করা ফ্লাইটের ক্ষেত্রে ৫ ডিসেম্বর (শনিবার) থেকেই এ নির্দেশনা কার্যকর হবে। তবে এই মুহূর্তে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য গন্তব্যে সরাসরি ফ্লাইট বন্ধ থাকায় সিঙ্গাপুর, তুরস্ক, দুবাই, আবুধাবি, মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্যে ট্রানজিট হয়ে যাত্রীরা গন্তেব্যে যাওয়া-আসা করছেন। ফলে এ নির্দেশনা ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য গন্তব্যে চলাচল করা ফ্লাইটের ক্ষেত্রেও কার্যকর হবে।

তবে শিডিউল বাণিজ্যিক ফ্লাইট ছাড়া রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে ত্রাণ, মানবিক সাহায্য, প্রত্যাবাসন, বাংলাদেশি নাগরিকদের ফেরত আনা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত কূটনৈতিক ফ্লাইটের ক্ষেত্রে এ শর্ত প্রযোজ্য হবে না। কিন্তু যেসব দেশে করোনা পরীক্ষার পর্যাপ্ত সুবিধা নেই সেখান থেকে আসা বাংলাদেশি শ্রমিক যারা জনশক্তি রপ্তানি উন্নয়ন বু্যরোর কার্ডধারী, বিকল্প কোনো স্বাস্থ্যগত সনদ দেখাতে হবে। যেমন- অ্যান্টিজেন টেস্ট অথবা গ্রহণযোগ্য অন্য কোনো কোভিড-১৯ সনদ।

প্রসঙ্গত, এর আগে ঢাকার আশকোনা হজ ক্যাম্পে ও উত্তরার পাশের দিয়াবাড়িতে সরকারি ব্যবস্থাপনায় কোয়ারেন্টিন সেন্টার পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়। বিদেশফেরতদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে সে সময় হাতে সিল লাগিয়ে দেওয়ারও ব্যবস্থা নেয় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ।

মাঝখানে দুই মাসের বেশি সময় আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল বন্ধ থাকার পর জুন থেকে পুনরায় কয়েকটি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের নিয়মিত ফ্লাইট চলাচল করছে। সে কারণে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক অনুষ্ঠানে আবারও সব বন্দরে কঠোর নজরদারি শুরুর নির্দেশনা দেন।

খবরটি 1,254 বার পঠিত হয়েছে


আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Follow us on Facebookschliessen
oeffnen