বিশেষ খবর ডেস্ক: পার্বত্য চট্টগ্রামের ৩ পার্বত্য জেলা পরিষদ পূর্ণগঠনে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা মারমা, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী মারমা, খাগড়াছড়িতে পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী মারমা উল্লেখ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ সচিবালয়ের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের উপসচিব সজল কান্তি বণিক স্বাক্ষরিত নং ২৯.০০.০০০০.২১৪.০১.২২৪. ১৮-১৫৫ নং স্বারকে প্রদত্ত এক প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এ নিয়ে ১০ম বারের মতো অন্তর্বর্তীকালীন তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ পুনর্গঠন করা হয়। প্রজ্ঞাপনে আরো উল্লেখ করা হয়, ২৫ মার্চ ২০১৫ তারিখের ২৯.০০.০০০০.২১৪.০১.১২০.২০০১(অংশ-১)/৮৮ নম্বর প্রজ্ঞাপন দ্বারা গঠিত পরিষদ বাতিল করা হয়। সে সাথে জনস্বার্থে জারীকৃত এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হইবে বলে জানানো হয়।

বান্দরবান: রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপসচিব সজল কান্তি বণিক স্বাক্ষরিত এ বিষয়ে এক প্রজ্ঞাপন জারি বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ পূর্ণগঠন করা হয়। আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়নে ৪র্থ বারের মতো পুনর্বহাল হলেন বর্তমান বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা মারমা। দলীয় মনোনয়নে নতুন ৫ জন ও পুরোনো ৯ জন নিয়ে ১৪ জন সদস্য নিয়োগ দেয় সরকার। এবারে যারা জেলা পরিষদ সদস্য হয়েছেন, জেলা সদরের ক্যাসা প্রু মারমা, লক্ষীপদ দাশ, মোজাম্মেল হক বাহাদুর, সিং ইয়ং ম্রো, সত্যহা পানজি ত্রিপুরা, তিংতিং ম‍্যা মারমা, থানচি উপজেলা থেকে বাশৈচিং মারমা, আলীকদম উপজেলার দুংড়ি মং মারমা, রোয়াংছড়ি উপজেলা থেকে কাঞ্চনজয় তংচঙ্গ্যা, সিংঅং খুমি, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা থেকে ক্যানে ওয়ান চাক, রুমা উপজেলা থেকে জুয়েল বম, লামা উপজেলায় ফাতেমা পারুল ও শেখ মাহাবুবর রহমান। এদের মধ‍্যে শেখ মাহাবুবর রহমান, সিংঅং খুমি, সত‍্যহা পাঞ্জি ত্রিপুরা, দুংড়ি মং মারমা ও বাসৈচিং মারমা নতুন সদস্য মনোনিত হয়েছেন।

রাঙ্গামাটি: বাংলাদেশ সচিবালয়ের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের উপসচিব সজল কান্তি বণিক স্বাক্ষরিত নং ২৯.০০.০০০০.২১৪.০১.২২৪. ১৮-১৫৩ নং স্বারকে প্রদত্ত এক প্রজ্ঞাপনে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ পূর্ণগঠন করা হয়। অন্তর্বর্তীকালীন ১০ম বারের মতো রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেযারম্যান আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়নে নিয়োগ পেয়েছেন অংসুই প্রু চৌধুরী মারমা। পুনর্গঠিত নতুন পার্বত্য জেলা পরিষদে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়েছেন, সবির কুমার চাকমা, প্রিয় নন্দ চাকাম, প্রবর্তক চাকমা, ইলিপন চাকমা, হাজী মো: মুছা মাতব্বর, মো: আব্দুর রহিম, বাদল চন্দ্র দে, অংসুই ছাইন চৌধুরী, নিউচিং মারমা, ঝর্না খীসা, মোছা: আছমা বেগম, বিপুল ত্রিপুরা, দ্বিপ্তীময় তালুকদার ও রেমলিয়ানা পাংখোয়া।

খাগড়াছড়ি: বাংলাদেশ সচিবালয়ের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের উপসচিব সজল কান্তি বণিক স্বাক্ষরিত নং ২৯.০০.০০০০.২১৪.০১.২২৪. ১৮-১৫৪ নং স্বারকে প্রদত্ত এক প্রজ্ঞাপনে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ পূর্ণগঠন করা হয়। খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন ১৯৮৯ ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ১৯৯৭ এর ১৬ ক (৪) উপধারা এবং খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন ২০১৪ এর ২(২) উপধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদ পূর্ণগঠন করেন। আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়নে অন্তর্বর্তীকালীন ১০ম বারের খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিয়োগ পেয়েছেন মংসুইপ্রু চৌধুরী মারমা। খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের ১৫ সদস্য বিশিষ্ট একজনকে চেয়ারম্যান ও ১৪ জনকে সদস্য করে গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন এ পরিষদ। আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়নে পুনর্গঠিত নতুন পরিষদে সাবেক পরিষদের ৮জন ও নতুন ৬ জনকে নতুন নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নিয়োগপ্রাপ্ত সদস্যরা হলেন, নির্মলেন্দু চৌধুরী, মংক্যচিং চৌধুরী, আশুতোষ চাকমা, মো.আব্দুল জব্বার, রেম্রাচাই চৌধুরী, খোকনেশ্বর ত্রিপুরা, পার্থ ত্রিপুরা ও শতরূপা চাকমা। নতুন মুখ নিয়োগ প্রাপ্তরা হলেন, শুভমংগল চাকমা, নিলোৎপল খীসা, মাইন উদ্দিন, হিরণজয় ত্রিপুরা, মেমং মারমা ও শাহিনা আক্তার।

পার্বত্য চট্টগ্রামে ১৯৮৯ সালে সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ গঠন করে। পরে ১৯৯৬ সালের ৫ আগস্ট জেলা পরিষদগুলো ভেঙে দিয়ে প্রত্যেক পরিষদে ১জন চেয়ারম্যান ও ৪জন সদস্য মনোনয়ন দিয়ে অন্তবর্তীকালীন পরিষদ গঠন করে সরকার। এরপর আর কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। সর্বশেষ ২০১৫ সালের ২৫মার্চ অন্তবর্তীকালীন জেলা পরিষদগুলোর ১জন চেয়ারম্যান ও সদস্য সংখ্যা ৪ থেকে ১৪ জনে উন্নিত করা হয়।

খবরটি 698 বার পঠিত হয়েছে


আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Follow us on Facebookschliessen
oeffnen