জাতীয় ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা ভাইরাস থেকে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে নিজ নিজ কর্মস্থলে সবাইকে যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সবাইকে নিজ নিজ স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রেখেই নিজ নিজ কর্মস্থলে কাজ করে যেতে হবে। দেশের মানুষ যাতে কষ্ট না পায়, কেননা তাদের কথাই আমরা বেশি চিন্তা করি। সবাই ভালো থাকেন, সুস্থ থাকেন সেটাই কামনা করি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মনে রাখতে হবে, আমার নিজের সুরক্ষা মানেই অপরকে সুরক্ষিত করা। নিজে, নিজের পরিবার এবং সহকর্মী সবার সুরক্ষার জন্য আমরা সবাই আন্তরিকভাবে চেষ্টা করব। মঙ্গলবার সকালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা ভাইরাস থেকে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে নিজ নিজ কর্মস্থলে সবাইকে যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সবাইকে নিজ নিজ স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রেখেই নিজ নিজ কর্মস্থলে কাজ করে যেতে হবে। দেশের মানুষ যাতে কষ্ট না পায়, কেননা তাদের কথাই আমরা বেশি চিন্তা করি। সবাই ভালো থাকেন, সুস্থ থাকেন সেটাই কামনা করি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মনে রাখতে হবে, আমার নিজের সুরক্ষা মানেই অপরকে সুরক্ষিত করা। নিজে, নিজের পরিবার এবং সহকর্মী—সবার সুরক্ষার জন্য আমরা সবাই আন্তরিকভাবে চেষ্টা করব। মঙ্গলবার সকালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত এই সভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে সংযুক্ত হন এবং সভাপতিত্ব করেন। এই ভার্চ্যুয়াল একনেক সভায় ১৬ হাজার ২৭৬ কোটি ৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। অনুমোদিত প্রকল্পের জন্য বাংলাদেশ সরকার দেবে ১৪ হাজার ৪০১ কোটি ৫২ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক ঋণ ১ হাজার ৮৮১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ রোগের কারণে আজ শুধু বাংলাদেশ নয়, সমগ্র বিশ্বই বলতে গেলে স্থবির হয়ে পড়েছে। এর মধ্যেও আপনারা যারা আজকে প্রকল্পগুলো তৈরি করে নিয়ে এসেছেন বা ডিজিটাল পদ্ধতিতে এই মিটিংটা যে করতে পারছি, সে জন্য আপনাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। প্রধানমন্ত্রী এ সময় করোনা ভাইরাসের কারণে দেশে এবং বিদেশে মারা যাওয়া বাংলাদেশিদের জন্য শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে যে স্বাস্থ্যবিধি দেওয়া হয়েছে, দেশবাসী সেটা মেনে চলবে—এটাই আমরা চাই। তিনি বলেন, কোভিড-১৯–এর কারণে উন্নয়নের গতিশীলতা কিছুটা কমে এলেও আমরা মনে করি, এই দিন থাকবে না। যেকোনো প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করেই আমরা এগিয়ে যেতে পারব।
লকডাউন শিথিল করার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই না আমাদের দেশের মানুষ কষ্ট পাক। সে জন্য আমরা যেসব বন্ধ করে দিয়েছিলাম। এখন তা কিছু কিছু করে উন্মুক্ত করা শুরু করেছি। কারণ, দেশের খেটে খাওয়া জনগণ থেকে শুরু করে স্বল্প আয়ের লোকজন—প্রত্যেকেই যেন তাঁদের জীবনযাত্রা সচল রাখতে পারে। শেখ হাসিনা বলেন, তারপরেও আমি বলব চলাফেরা থেকে শুরু করে সবকিছুতেই স্বাস্থ্যবিধিটা মেনে চলবেন। যেটা (স্বাস্থ্যবিধি) আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত, সেটা মেনেই আমাদের চলতে হবে। যাতে দেশের মানুষ সুরক্ষিত থাকতে পারে।