স্বাস্থ্য ডেস্ক: কারি পাতা বা নরসিংহ পাতার গুণাগুণের শেষ নেই। শরীরের বিভিন্ন রোগের প্রতিকারে সাহায্য করে এ পাতার উপাদান। তরকারি, ডাল, ভাজা, নোনতা সুজি, চিঁড়ের পোলাও ইত্যাদি নানা খাবারে কারি পাতার ব্যবহার রয়েছে। এ পাতার রস পান করলে শরীরে থাকা ক্ষতিকর টক্সিন শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। এভাবে আপনি অনেক রোগ থেকে দূরে থাকতে পারবেন। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, যা চোখকে সুস্থ রাখার জন্য অপরিহার্য। এতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কার্যকর।

            স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ওয়েবসাইটের তথ্যমতে, প্রতি ১০০ গ্রাম কারি পাতায় প্রায় ১০৮ ক্যালোরি থাকে। এতে ফাইবার, প্রোটিন, এসেনশিয়াল অয়েল, এনার্জি, কার্বোহাইড্রেট, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, মিনারেল এবং অনেক ধরনের ভিটামিনের উপস্থিতির কারণে এটি খুবই স্বাস্থ্যকর পাতার ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত। এটি ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, আয়রন, পটাসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়ামের মতো খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ। যা বিভিন্ন উপায়ে স্বাস্থ্যের সুবিধা প্রদান করে। এতে রয়েছে ভিটামিন সি, ই, বি১, বি২, বি৩, বি৯। ভিটামিন সি, ই, জিঙ্ক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে।

            কারি পাতার উপকারিতা: কারি পাতা বা নরসিংহ পাতা শুধু খাবারের স্বাদ বাড়ায় না এর অনেক স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে। মিষ্টি নিম নামে খ্যাত এটি। এ পাতা হজমশক্তি বাড়ায়, আর পেট সংক্রান্ত অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। কারি পাতার ভেষজ গুণ রয়েছে অনেক। কারি পাতায় আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম, আয়রন, কপার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধির জন্য এটি একটি অপরিহার্য ভিটামিন। এটি চোখের রোগ ছানি থেকে রক্ষা করতে পারে। ওজন বাড়তে থাকলে কারি পাতার রস পান করা যায়। কারি পাতা শরীরে ডিটক্সিফাইং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। এটি কোষের নষ্ট হওয়া প্রতিরোধ করে শরীরকে ভিতর থেকে সুস্থ রাখে। কারি পাতা ওজন কমাতে সাহায্য করে। কারি পাতা বা কারি পাতার রসে থাকা আয়রন, জিঙ্ক, কপার থাকায় ডায়বিটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। কারি পাতা খেলে সতেজ থাকে মস্তিষ্ক। এ কারি পাতা ভালো না লাগলে মাঝেমধ্যে উপকারিতার জন্যে খেতে হবে।

খবরটি 754 বার পঠিত হয়েছে


আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Follow us on Facebookschliessen
oeffnen