খেলা ডেস্ক: শ্রীলঙ্কা সফরে বড় বহরই পাঠাতে হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি)। জাতীয় দল ও এইচপি স্কোয়াড মিলে ৪৪ জন ক্রিকেটার যাবেন সফরে। দু’দলের টিম ম্যানেজমেন্টের সদস্য মিলে ৬৫ জনের বহর। কলম্বোর তিন সপ্তাহের কন্ডিশনিং ক্যাম্প চলাকালে এই স্কোয়াডের পুরো খরচ বহন করবে বিসিবি। বুধবারের সভা শেষে আকরাম আরও জানান, আপাতত টেস্ট সিরিজের দল ও প্রস্তুতি নিয়ে পরিকল্পনা করছেন তারা। কারণ, টি২০ সিরিজের ব্যাপারে এখনও দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে জাতীয় দল নির্বাচকদের সঙ্গে সভা শেষে বিসিবি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান আকরাম খান জানান, এইচপির ২৪ আর জাতীয় দলের স্কোয়াড হবে ২০ সদস্যের। জাতীয় দলের মতো এইচপিরও দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলবে শ্রীলঙ্কায়। দুটি দল একসঙ্গে সফর করলে সব দিক থেকেই লাভ বিসিবির। একই বিমানে যেতে পারছে তারা। আবাসিক ক্যাম্পে স্বাস্থ্যঝুঁকিও কম থাকবে। জাতীয় দলের সঙ্গে ম্যাচ খেলায় ভালো একটা অভিজ্ঞতা হবে এইচপির ক্রিকেটারদের।
এইচপি চেয়ারম্যান নাঈমুর রহমান দুর্জয় জানান, জাতীয় দলের সিরিজ শুরু হলে এইচপি আলাদা হবে। অন্য ভেন্যুতে খেলবে স্বাগতিক এইচপি দলের সঙ্গে। দেশ ছাড়ার আগে ১০ থেকে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে দুই দলের ক্যাম্প হবে ঢাকায়। মাসের শুরুতে ঢাকায় চলে আসবেন জাতীয় দলের বিদেশি কোচিং স্টাফ। কভিড পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের তোলা হবে হোটেলে। সফরের আগে অন্তত তিনবার খেলোয়াড় ও টিম ম্যানেজমেন্টের সদস্যদের কভিড পরীক্ষা করা হবে বলে জানান আকরাম।
প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু জানান, যথেষ্ট সময় হাতে রেখে ক্রিকেটারদের প্রথম পরীক্ষা করানো হবে, কেউ করোনা পজিটিভ হলেও যাতে সুস্থ হয়ে লঙ্কা সফরে যেতে পারেন। শ্রীলঙ্কা সফর দিয়ে সাকিব আল হাসানের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বুধবারের সভায়।
আকরাম বলেন, ‘এজেন্ডায় সাকিবের ফেরার বিষয়টি ছিল। আমরা কথা বলেছি, তবে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। সে খেলার জন্য উন্মুক্ত হবে ২৯ অক্টোবর। যতটুকু আমরা জানি, দলের সঙ্গে প্র্যাকটিস করতে পারবে না। এটা নিয়ে কোচ, সাকিব ও বোর্ড সভাপতির সঙ্গে কথা বলতে হবে। প্র্যাকটিস, ফিটনেসের ব্যাপার আছে। সে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ একজন খেলোয়াড়। সেটা আমাদের মাথায় আছে।