ব্রেকিং নিউজ:

স্টাফ রিপোর্টার, বান্দরবান: বান্দরবানে থানচি উপজেলায় দুর্গম তিন্দু ইউনিয়নের এক আদিবাসী খিয়াং নারীকে ধর্ষণের পর হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়। এ সমাবেশে ধর্ষক ও হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়। মঙ্গলবার (৬ মে) বিকাল ২ টার দিকে আদিবাসী ছাত্র সমাজ এ প্রতিবাদ কর্মসূচি আয়োজন করেছে। এর আগে রাজার মাঠ থেকে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বান্দরবান প্রেসক্লাবের সামনে এসে সমাবেশ করে।

            সমাবেশে বক্তারা বলেন,  থানচিত ‍দুর্গম এলাকায় খেয়াং সম্প্রদায়ের চিংমা খিয়াং তিন সন্তানের মা জুমখেতে ধান রোপন করতে গেলে ধর্ষণের শিকার হয়। শুধু ধর্ষণ করা হয়নি। তাকে ধর্ষণের পর মেরে ফেলেছে ধর্ষকেরা। এ ধর্ষণের ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে সুস্থ বিচার দাবি করছি। ধর্ষকের কোন জাতি-ধর্ম নেই, ধর্ষকের পরিচয় শুধু ধর্ষক। সে বাঙ্গালি হোক আর পাহাড়ি হোক। তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। ধর্ষকদের বিচার হতে হবে মৃত্যুদণ্ড। নারীদের সুরক্ষা  করতে হবে। বক্তারা আরও বলেন, থানচির দুর্গম এলাকায় খেয়াং সম্প্রদায়ের নারী যে নির্মম ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তার শারীরিক আলামত দেখে আমরা গভীরভাবে মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ। এ বর্বরোচিত ঘটনার ন্যায়বিচার দাবি করছি এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই। অতীতে যে সব নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তাদের বিচার এখনো হয়নি। অপরাধী যে হোক না কেন, তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। খিয়াং নারীর ধর্ষণের বিচার না হলে আগামীতে এ ছাত্র জনতা নিয়ে কঠোর আন্দোলন যাওয়ার হুশিয়ারি দেন বক্তারা।

            এ প্রতিবাদ সমাবেশ বক্তব্য রাখেন, মানবাধিকার কর্মী অংচমং মারমা, লেলুং খুমী, ডনাইপ্রু মারমা নিলি, ছাত্র প্রতিনিধি বিটন তংচংগ্যা, উলাচিং মারমা, জন ত্রিপুরা ও জেমস বম ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি নেতারা।

            গতকাল ৫ মে সকালে চিংমা খিয়াং জুমখেতে ধান রোপন করতে পাহাড়ে যান। তার দুপুরে ফিরে বাড়িতে ভাত খাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ফিরে না আসায় বিকেলে পরিবারের লোকজন ও পাড়াবাসী খোঁজাখুঁজি করে। এক পর্যায়ে জঙ্গলে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার চিহ্ন দেখতে পায়। এ চিহ্ন অনুসরণ করে জুমখেতের সীমানার নিকটবর্তী ঝিড়িতে পাথরের উপরে তার বিবস্ত্র লাশ পাওয়া যায়। শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল তা স্থানীয়রা জানিয়েছে। ধারণা করা হয় এ নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।

খবরটি 214 বার পঠিত হয়েছে


আপনার মন্তব্য প্রদান করুন