অর্থনীতি ডেস্ক: করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত নিম্ন আয়ের পেশাজীবী, কৃষক ও প্রান্তিক বা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ঋণ দিতে ৩ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন করেছে সরকার। এই তহবিল থেকে ঋণ দেয়ার জন্য যেকোনো ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ ৩টি ব্যাংক হতে ঋণ সুবিধা নিতে পারবে। সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ফিইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্ট থেকে এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়, করোনাভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত নিম্ন আয়ের পেশাজীবী, কৃষক ও প্রান্তিক বা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য যে পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন করা হয়েছে তা থেকে গ্রাহকদের ঋণ দেয়ার জন্য যেকোনো ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ ৩টি ব্যাংক হতে অর্থ সুবিধা নিতে পারবেন। তবে একাধিক ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে অর্থায়ন সুবিধা গ্রহণকারী ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত সীমার মধ্যে ঋণ গ্রহণ নিশ্চিতকল্পে উক্ত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রথম এবং, ক্ষেত্রবিশেষ প্রথম ও দ্বিতীয় ব্যাংকের নিকট থেকে গৃহীত ঋণ তথ্য সম্বলিত একটি ঘোষণাপত্র সর্বশেষ অর্থায়নকারী ব্যাংকের নিকট দাখিল করতে হবে। এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে চলতি বছরের ২০ এপ্রিল জারী করা প্রজ্ঞাপনে একটি ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠান একটি ব্যাংক থেকেই অর্থায়ন গ্রহণ করতে পারবে বলে জানিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।

            এই স্কিমের নীতিমালায় বলা হয়েছে, করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য গঠিত ৩ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন স্কিমে অর্থের জোগান দেয়া হবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব তহবিল থেকে। এই স্কিমের মেয়াদ হবে ৩ বছর। নিম্ন আয়ের পেশাজীবী, কৃষক, প্রান্তিক বা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, অর্থাৎ স্থানীয়ভাবে কৃষি এবং বিভিন্ন আয় উৎসারী কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার স্থানীয় উদ্যোক্তা ও পেশাজীবী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এই তহবিল থেকে ঋণ পাবেন। এছাড়া অতিদরিদ্র, দরিদ্র অথবা অনগ্রসর গোষ্ঠীভুক্ত ব্যক্তি এবং অসহায় বা নিগৃহীত নারীরা এ ঋণের ক্ষেত্রে প্রাধান্য পাবেন।

            এই প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে ঋণ নিলে সুদ হার হবে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ। পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের আওতায় ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো (এমএফআই) গ্রাহক পর্যায়ে ঋণ বিতরণ করবে। শুধু ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের সমিতিভুক্ত সদস্যরাই গ্রাহক পর্যায়ে ঋণ দিতে পারবে। একজন গ্রাহকের ক্ষেত্রে ঋণের সর্বোচ্চ পরিমাণ হবে ৭৫ হাজার টাকা। আয় উৎসারী কর্মকাণ্ডে অন্তর্ভুক্ত ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত গ্রুপভিত্তিক অর্থায়নের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৫ সদস্যবিশিষ্ট গ্রুপের অনুকূলে ঋণের পরিমাণ হবে সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রে এককভাবে ঋণের পরিমাণ হবে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা। আর যৌথ প্রকল্পের আওতায় গ্রুপভিত্তিক অর্থায়নের ক্ষেত্রে (ন্যূনতম ৫ সদস্যের গ্রুপের জন্য ঋণের পরিমাণ হবে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত। গ্রুপের সদস্য সংখ্যা বেশি হলে ঋণের পরিমাণ আনুপাতিক হারে বাড়বে।

খবরটি 700 বার পঠিত হয়েছে


আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Follow us on Facebookschliessen
oeffnen