আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সম্প্রতি ইউক্রেনীয় বাহিনী রাশিয়ার অভ্যন্তরেও হামলা বাড়িয়েছে। এমন অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে দিয়েছে রাশিয়া। দেশটি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, ইউক্রেন ইস্যুতে ‘রেড লাইন’ অতিক্রম করবেন না। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে চলমান সংঘাতে রাশিয়ার ‘রেড লাইন’ অতিক্রম না করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে দিয়েছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। মস্কোর সাথে নিজের পারস্পরিক সংযমের বোধ হারাতে শুরু করেছে ওয়াশিংটন। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বার্তাসংস্থা একথা জানিয়েছে। গত বুধবার এক সাক্ষাৎকারে ল্যাভরভ বলেন, ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহের বিষয়ে আমেরিকানরা তাদের নিজস্ব রেড লাইন অতিক্রম করেছে। বার্তাসংস্থার রিপোর্টে তাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, তাদের (যুক্তরাষ্ট্র) বোঝা উচিত, আমাদের রেড লাইনগুলো বোকা বানানোর মতো কিছু নয়। তারা খুব ভালো করে জানে তারা কোথায় আছে।
ল্যাভরভ আরও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার সাথে পারস্পরিক সংযমের বোধ হারাতে শুরু করেছে এবং এটিকে তিনি বিপজ্জনক অভিহিত করেছেন। তিনি আশা করেন ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহের সম্ভাব্য পরিণতি উপলব্ধি করবে ওয়াশিংটন। আমি নিশ্চিত যে, সেখানে উল্লেখযোগ্য প্রভাব সম্পন্ন যুক্তিবোধ সম্পন্ন লোক রয়েছে। আমি আশা করি, মার্কিন স্বার্থ বিবেচনায় নেওয়া হবে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২০২২ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে রুশ সেনাবাহিনীকে ইউক্রেনে পাঠিয়ে প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু করেন। এরপর আড়াই বছরেরও বেশি সময় ধরে এ সংঘাত চলছে। এ যুদ্ধে কয়েক হাজার মানুষের প্রাণহানি হলে সংঘাত বন্ধের কোন আভাস এখন নেই। অন্যদিকে রুশ এ প্রতিরোধ যুদ্ধের মোকাবিলায় নিজেদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পশ্চিমা সহায়তায় পুষ্ট ইউক্রেন। বর্তমানে ক্রিমিয়াসহ ইউক্রেনের প্রায় ১৮ শতাংশ এবং পূর্ব ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলের কিছু অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে রাশিয়া। এক সময় রাশিয়ান সাম্রাজ্যের অংশ থাকা এসব ভূখণ্ড এখন আবার রাশিয়ার অংশ হয়েছে এবং এগুলো আর কখনো ফেরত দেওয়া হবে না। তিনি এ যুদ্ধকে পশ্চিমের সাথে পূর্বের ঐতিহাসিক সংগ্রামের অংশ হিসাবে চিহ্নিত করেছেন। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর রাশিয়াকে অপমানিত করা হয়েছে।