পযর্টন ডেস্ক: কক্সবাজারে সমুদ্র সৈকত পাড়ে যতদুর চোখ যায় মানুষ আর মানুষ। এসব মানুষের চোখে মুখে উচ্ছ্বাস আর বাধঁভাঙ্গা আনন্দ। নোনাজলে গা ভাসানো আর বালিযাড়িতে আনন্দে মেতেছে হাজারো মানুষ।অনেক পর্যটক হোটেল কক্ষ ভাড়া না পেয়ে সমুদ্র পাড়ে রাত পার করেছেন। কক্সবাজারে পাঁচ শতাধিক আবাসিক হোটেল মোটেল ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৮০ শতাংশ বুকিং হয়ে গেছে। অতিরিক্ত পর্যটক আগমনের কারণে কিছু পর্যটক রুম পায়নি এ ধরনের তথ্য রয়েছে।
জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ জানান, হোটেলে রেস্তোঁয়ায় অতিরিক্ত দাম নেয়ার অভিযোগ এ পর্যটকের। হোটেল কিংবা রেস্তোরায় অতিরিক্ত দাম নিলে জেল জরিমানা করা হচ্ছে। মূল্য তালিকা টাঙানো না থাকায় অনেক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানার আওতায় এনেছে।
কক্সবাজার হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার জানিয়েছেন, তিনদিনের টানা ছুটির আজ রোববার শেষ দিন। এ তিন দিনে কক্সবাজারে প্রায় ৪ লাখের বেশি পর্যটকের আগমন ঘটেছে। স্কুল, কলেজ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টান বন্ধ থাকায় আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কক্সবাজারে পর্যটকের ভিড় থাকবে।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি জিল্লুর রহমান জানান, স্বাভাবিকভাবে বিপুল সংখ্যক পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণে এসেছেন। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ টহল বাড়িয়েছে। পোশাকধারীর পাশাপাশি সাদা পোশাকে নজরধারি করা হচ্ছে। পর্যটকদের কাছ থেকে কোনো অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক শাহীন ইমরান জানান, পর্যটক হয়রানি রোধ এবং পর্যটকদের নিরাপত্তায় মাঠে রয়েছে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একাধিক টিম। এছাড়া পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশের সঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।