অর্থনীতি ডেস্ক: দরিদ্র থেকে ধনী হয়ে যাওয়ার এক গল্প, গল্পটা বাংলাদেশের, গত ৫০ বছরের। মার্কিন কূটনীতিকরা যে দেশকে ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ বলেছিলেন, সে দেশটির প্রবৃদ্ধিকে অন্যদের জন্য অনুপ্রেরণামূলক বলছে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানা লক্ষ মানুষকে, বিশেষ করে নারী শ্রমিকদের দারিদ্র্য থেকে মুক্ত করতে সহায়তা করেছে। মানুষের আয়ু ৫০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে, শিশু মৃত্যুর হার প্রায় ৯০ শতাংশ কমেছে। গত বছর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল, বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) শিগগির ডেনমার্ক বা সিঙ্গাপুরকে ছাড়িয়ে যাবে। বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি হার ইতোমধ্যে প্রতিবেশী ভারতের তুলনায় বেশি। মাত্র কয়েক মাস আগে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাকে ‘অলৌকিক অর্থনীতি’ আখ্যা দিয়ে বিশ্ব গণমাধ্যমে শিরোনাম করা হয়েছিল। কিন্তু এসব এখন হুমকির মুখে পড়েছে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বিশেষ বিপর্যয় ডেকে আনছে। বাংলাদেশের সাথে একটি প্রাথমিক চুক্তিতে পৌঁছেছে আইএমএফ। এ ঋণ চুক্তির আওতায় বাংলাদেশকে সাড়ে চার বিলিয়ন ডলারের সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে বৈশ্বিক এ আর্থিক সংস্থা। এর মধ্য দিয়ে চলতি বছরে দক্ষিণ এশিয়ায় শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের পর তৃতীয় দেশ হিসেবে আইএমএফ সহায়তা নিচ্ছে বাংলাদেশ। বৈশ্বিক মন্দা থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখা প্রায় ১৭ কোটি মানুষের উদীয়মান অর্থনীতির একটি দেশের জন্য প্রায় অসম্ভব। কারণ, বিশ্বের বাকি অংশের সাথে সম্পর্ক রয়েছে বাংলাদেশের। এ মুহূর্তে চীনের পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ বাংলাদেশ। বিদেশে বিশাল সংখ্যক প্রবাসী রয়েছেন, যারা বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠান। আর সরকার দেশের বিদ্যুৎ গ্রিড পরিচালনার জন্য আমদানি করা জ্বালানির ওপর নির্ভরশীল। যে কারণে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মূলত তিনটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে রপ্তানি, রেমিটেন্স এবং জ্বালানির দাম। গত কয়েক মাসে রপ্তানি ও রেমিট্যান্স কমেছে আর জ্বালানির ব্যাপক মূল্য বৃদ্ধি ঘটেছে।

            বাংলাদেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি হলো তৈরি পোশাক শিল্প। দেশের মোট রপ্তানির ৮০ শতাংশের বেশি হয় তৈরি পোশাক খাত থেকে। বিশ্ব অর্থনীতিতে ক্রমবর্ধমান হারে অবদান রাখছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প। সরকারি এক পূর্বাভাষে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশের কারখানাগুলো বৈশ্বিক বাজারের প্রায় ১০ শতাংশ পোশাক উৎপাদন করবে। কোভিড-১৯ মহামারিতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প প্রায় ধ্বংস হয়ে যায়। একের পর এক কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। তৈরি পোশাক খাতের মোট কর্মশক্তির অন্তত এক চতুর্থাংশ ১০ লাখ মানুষ চাকরি হারিয়েছেন। তাদের অনেকে এখন কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। গত বছর পশ্চিমে ভোক্তাদের ব্যয় পুনরায় মহামারির আগের ধারায় ফিরতে শুরু করে। বাংলাদেশ ধীরে পোশাকের রপ্তানি আদেশ পেতে শুরু করে। আর চলতি বছরের শুরুর দিকে পোশাক রপ্তানি আকাশচুম্বী হয়ে ওঠে। গত জুনে বাংলাদেশ ৪ বিলিয়ন ডলারের বেশি পোশাক রপ্তানি করে যা এক মাসের হিসেবে রেকর্ড। কিন্তু এর এক মাস পর বৈশ্বিক মুদ্রাস্ফীতির কারণে আবার পোশাক রপ্তানির আদেশ কমে যায় একেবারে ৩০ শতাংশ। বাংলাদেশের পোশাক কর্মীরা ইতোমধ্যে এর যন্ত্রণা ভোগ করতে শুরু করেছেন। বাংলাদেশের রপ্তানির চিত্র টানা ১৪ মাস অত্যন্ত শক্তিশালী ছিল। কিন্তু সেপ্টেম্বরের মধ্যে তা একেবারে তলানিতে নেমে যায়। বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিকদের সিংহভাগ নারী। বাংলাদেশে নারী পোশাক শ্রমিকের হার ৫৮ থেকে ৮০ শতাংশ। উচ্চ বেতনের কারখানাগুলোর সুপারভাইজাররা সাধারণত পুরুষরা হন এবং বেশিরভাগ নারী ন্যূনতম মজুরি পান যা প্রতি মাসে প্রায় ৮ হাজার টাকার মতো। ক্রমবর্ধমান খাদ্য মূল্যের কারণে এ মজুরি জীবন চালানোর জন্য যথেষ্ট নয়। শ্রমিক এবং শিল্পের জন্য এটি বড় সমস্যা। রপ্তানি কমে যাওয়ায় বাংলাদেশে জ্বালানি আমদানির অর্থ কমছে। অন্যদিকে দাম বাড়ছে জ্বালানির। বাংলাদেশের বৈদ্যুতিক গ্রিড নড়বড়ে হয়ে পড়েছে এবং আংশিকভাবে আমদানি করা জ্বালানিতে চলতে হচ্ছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর বিদ্যুৎ আরও ব্যয়বহুল হয়ে উঠছে।

            আর এ সত্য পুরো বিশ্বের। এ ধাক্কা মোকাবিলার জন্য বাংলাদেশ খুব বেশি প্রস্তুত নয়। মূল্যবৃদ্ধির কারণে বিদ্যুতের রেশনিং করতে বাধ্য হয়েছে সরকার। গত জুলাইয়ে রাজধানী ঢাকায় দুই ঘণ্টা করে লোডশেডিং শুরু হয়। এ পরিস্থিতি ২০২৬ সাল পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। গত ৪ অক্টোবর বিদ্যুতের এক লাইনে সমস্যার কারণে প্রায় পুরো বাংলাদেশ ১০ ঘণ্টা ধরে অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পেট্রলের দাম বিশ্বব্যাপী জ্বালানির দামের ওপর নির্ভর করে। ফেডারেল এবং রাজ্য সরকারগুলো কত কর ধার্য করে তার ওপর জ্বালানির দাম নির্ভর করে। উন্নয়নশীল অনেক দেশের মতো বাংলাদেশে সরকার জ্বালানির দামে ভর্তুকি দিয়ে থাকে। গত আগস্টে বাংলাদেশ সরকার জ্বালানিতে ভর্তুকির সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে। সে সময় সরকার জানায়, জ্বালানির দাম কৃত্রিমভাবে কমিয়ে রাখা সম্ভব নয়। সরকারের এ সিদ্ধান্তের পর মাত্র এক সপ্তাহে পেট্রল, ডিজেল এবং কেরোসিনের দাম ৫০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি করা হয়। ১৯৭১ সালে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে যাত্রা শুরুর পর বাংলাদেশে জ্বালানির সর্বোচ্চ মূল্যবৃদ্ধি। বাস ও ট্যাক্সি রাতারাতি ভাড়া বাড়িয়েছে। খাবারের দাম বেড়েছে। আর হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সরকার এখন আমদানি করা ব্যয়বহুল গ্যাসের ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর চেষ্টা করছে। সস্তা, নোংরা কয়লার দিকে বেশি ঝুঁকছে। বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী দেশীয় জীবাশ্ম জ্বালানি সরবরাহে কাজ করছে। শুধু তাই নয়, প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রও নির্মাণ করছে বাংলাদেশ। যা আগামী বছর চালু হওয়ার কথা রয়েছে। গত আগস্টে বাংলাদেশ সরকার জ্বালানিতে ভর্তুকি বাতিলের পর মাত্র এক সপ্তাহে পেট্রল, ডিজেল এবং কেরোসিনের দাম ৫০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি করা হয়।

            বাংলাদেশের আয়ের আরেকটি বড় উৎস প্রবাসীরা। প্রায় এক কোটি ৩০ লাখ বাংলাদেশি বিদেশে রয়েছেন। তাদের অনেকে বাড়িতে অর্থ পাঠান। গত বছর রেকর্ড ২২ দশমিক ০৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাঠিয়েছিলেন এ বাংলাদেশিরা। কিন্তু এ গ্রীষ্মে রেমিটেন্স প্রবাহ ১৫ শতাংশের বেশি কমেছে। বাংলাদেশকে দেওয়া আইএমএফের প্যাকেজ শ্রীলঙ্কার তুলনায় বড়। কিন্তু অর্থনীতিবিদরা এই সহায়তাকে বেলআউট বলছেন না। তারা বলছেন, আইএমএফের সহায়তার জন্য বাংলাদেশ একটি প্রাথমিক, বিচক্ষণ পদক্ষেপের অনুরোধ করেছিল। যা প্রকৃতপক্ষে প্রতিবেশীদের তুলনায় এই বৈশ্বিক মন্দাকে আরও ভালোভাবে মোকাবিলায় সহায়তা করতে পারে। যেমন শ্রীলঙ্কার কথাই ধরা যাক। দেশে মানুষের অভ্যন্তরীণ ক্রয় ক্ষমতা কমে গেছে। তাই সময়ের সাথে সাথে প্রবাসীদের আরও অর্থ পাঠানোর দরকার হচ্ছে।

            শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। রাজনৈতিক সংকটের সৃষ্টি করেছে। দেশটির সরকার চলতি বছরের শুরুর দিকে বৈদেশিক ঋণ খেলাপি হয়েছে এবং আইএমএফ কাছ থেকে ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের বেলআউট প্যাকেজ পাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ আইএমএফ কাছে শ্রীলঙ্কার চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি অর্থাৎ সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার চাইলে অর্থনীতিবিদরা এ প্যাকেজকে বেলআউট বলছেন না। এর একাধিক কারণ অবশ্য জানিয়েছেন তারা। প্রথমত, আনুপাতিক দিক থেকে আইএমএফ এ সহায়তা অনেক কম। তাই আকার বিবেচনায় এ প্যাকেজটি আসলে শ্রীলঙ্কার বেলআউটের এক চতুর্থাংশের মতো। দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশের অর্থনীতি শ্রীলঙ্কার চেয়ে ভালো অবস্থায় আছে। অবশ্যই ২০১০ সালে আইএমএফ যখন গ্রিসকে প্রথম ১৪৬ বিলিয়ন ডলারের বেলআউট দেয়, তখনকার গ্রিসের তুলনায় ভালো আছে বাংলাদেশ। অন্যান্য দেশ যখন বিপদে পড়েছিল বা প্রকৃতপক্ষে ঋণ খেলাপি হয়েছিল তখন বেলআউট পেয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশ ঋণ খেলাপি হয়নি। কয়েক মাসের ব্যয় মেটানোর জন্য সরকারের কাছে বৈদেশিক মুদ্রার পর্যাপ্ত রিজার্ভ রয়েছে। বিশ্ব অর্থনীতি কতটা আন্তঃসম্পর্কিত এবং বিশ্বজুড়ে চলমান মন্দা কীভাবে দরিদ্র দেশগুলোকে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করছে, শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ তার এক উদাহরণ। এমনকি অলৌকিক অর্থনীতির বাংলাদেশ এ ব্যথা থেকে বাঁচতে পারছে না। কিছু বিষয় আছে যেগুলো নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করা অত্যন্ত কঠিন। ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে, আর এ যুদ্ধের কারণে জ্বালানির সংকট শুরু হয়েছে। আমরা কেবল মহামারি থেকে বেরিয়ে এসেছি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এসব কিছুর ফলে কিছু কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

            লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকসের ইন্টারন্যাশনাল গ্রোথ সেন্টারের অর্থনীতিবিদ ফারিয়া নাঈম বলেছেন, বৈশ্বিক অর্থনীতিতে বর্তমান অস্থিরতার কারণে পরিস্থিতি খারাপ থেকে আরও খারাপের দিকে চলে গেছে। গত আগস্টে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ যা গত এক দশকের বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এ পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে ফারিয়া নাঈম বলেন, রপ্তানির চিত্র টানা ১৪ মাস অত্যন্ত শক্তিশালী ছিল। কিন্তু সেপ্টেম্বরের মধ্যে তা একেবারে তলানিতে নেমে যায়। পশ্চিমের নতুন অর্থনৈতিক সংকটের সাথে বাংলাদেশের এ পরিস্থিতির সম্পর্ক রয়েছে। পশ্চিমে মন্দা থাকলে, আমাদের রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। আগামী দুই দশকের মধ্যে মধ্যম-আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার আকাঙ্ক্ষা রয়েছে বাংলাদেশের। তাই আমাদের জ্বালানির চাহিদা কেবল বাড়তে চলেছে। নাঈম বলেন, মার্কিন ডলার অত্যন্ত শক্তিশালী হয়ে ওঠার কারণে এটি হতে পারে। এর মানে বাংলাদেশি প্রবাসীদের একই পরিমাণ মুদ্রা কাছে রাখার জন্য কাউকে কম পাঠাতে হবে। কিন্তু দেশে মানুষের অভ্যন্তরীণ ক্রয় ক্ষমতা কমে গেছে। তাই সময়ের সাথে সাথে তাদের আরও অর্থ পাঠানোর দরকার হচ্ছে। নাঈম বলেছেন, আইএমএফ সম্ভবত কিছু আর্থিক ও অর্থনৈতিক সংস্কারের শর্তে বাংলাদেশকে দেওয়া ঋণ বেঁধে রাখবে। তবে বেদনাদায়ক কঠোর কোন ব্যবস্থা হয়তো আইএমএফ নেবে না। তিনি বলেন, এক দশক বা তার বেশি আগে গ্রিসকে যে কঠিন পদক্ষেপের মুখোমুখি হতে হয়েছিল, বর্তমানে তেমন কোন পদক্ষেপের আসলে দরকার নেই।

            বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিক সংগঠন বাংলাদেশ গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স সলিডারিটির সভাপতি তসলিমা আখতার বলেন, তারা এখন ওভারটাইম পাচ্ছেন না। শুধু মজুরির ওপর নির্ভর করে জীবন চালানো যায় না। যে কারণে অনেকে ওভারটাইম করেন। এটি ছাড়া বেঁচে থাকা কঠিন বিশেষ করে বর্তমান মুদ্রাস্ফীতির এ সময়ে তা আরও কঠিন। তসলিমা আখতার চান, সরকার যেন নারী শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধি করে। তিনি বলেন, চাল, ডিম, শাক সবজির মতো নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সবকিছুর দাম বাড়ছে। এছাড়া (বাড়িতে) রান্নার গ্যাস এবং (কারখানায়) বিদ্যুতের দাম বেড়েছে।

           যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল ইউনিভার্সিটির অর্থনীতির অধ্যাপক আহমেদ মুশফিক মোবারক বলেন, আশ্চর্যজনক প্রবৃদ্ধির সময় বাংলাদেশে অবকাঠামো চিরাচরিত এক লুকায়িত সমস্যা ছিল। সব সময় বিদ্যুৎ ঘাটতির মধ্যে ছিল বাংলাদেশ। সুতরাং যখন কোন ধরনের আঘাত আসে রাশিয়া আমাদের থেকে হাজার মাইল দূরে ইউক্রেন আক্রমণ করে আমরা ইতোমধ্যে খাদের কিনারে রয়েছি এবং হঠাৎ করে আমাদের বিদ্যুতের বিল বেড়ে যাচ্ছে। অধ্যাপক মোবারক বলেন, এটি বিশ্বের আন্তঃসংযুক্ত হওয়ার এক উদাহরণ। আমরা মৌলিক স্বাস্থ্য এবং শিক্ষায় বিনিয়োগ করতে সক্ষম হয়েছি যা অভিবাসীদের দক্ষ করে তুলেছে। যাতে তারা বিদেশি শ্রম বাজারে উপার্জন করতে পারেন। মোবারক বলেন, আমাদের দেশের জনসংখ্যা (শ্রীলঙ্কার চেয়ে) প্রায় আট গুণ বেশি। আমাদের অর্থনীতি প্রায় পাঁচ গুণ বড়। আমরা একটু বেশি দরিদ্র।

  • মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনপিআর নিউজে প্রকাশিত লরেন ফ্রেয়ারের প্রতিবেদনে অবলম্বনে…

খবরটি 442 বার পঠিত হয়েছে


আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Follow us on Facebookschliessen
oeffnen