বিশেষ খবর ডেস্ক: শিক্ষা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, উন্নয়ন সহযোগিতা, সামরিক ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে ব্রিট-বাংলা পার করেছে ৫০ বছর। বন্ধুত্বপূর্ণ ও অংশীদারিমূলক সহযোগিতা বৃদ্ধি করে এ সম্পর্কে আরও গতি আনতে চায় ব্রিটেন। ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসন বললেন, জীবনমান উন্নয়ন ও সবুজায়নের মতো প্রকল্পে অগ্রাধিকার দিয়ে ব্রিটিশ সরকার বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী।

            ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসন বলেন, বাংলাদেশ-ব্রিটেনের মধ্যে একটা গভীর সম্পর্ক রয়েছে। এটি সময়ের সাথে নানা মাত্রা পাচ্ছে। এখানকার হাইকমিশনার হিসেবে এ নিয়ে কাজ করা সত্যিই অসাধারণ। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশে পরিণত হচ্ছে। যুক্তরাজ্যের বেসরকারি খাত ও বড় বড় কোম্পানিগুলোকে এখানে যুক্ত করে আমরা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বিনিয়োগকারী হয়েছি। উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য যুক্তরাজ্য বিশেষ বাণিজ্য স্কিম চালু করেছে। বাংলাদেশের বিনিয়োগকারীরা যুক্তরাজ্যের বাজারে জিরো ট্যারিফ সুবিধা পাচ্ছে। এমনকি তৈরি পোষাক রফতানির ক্ষেত্রেও একই সুবিধা থাকছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, বাক-স্বাধীনতা, মুক্ত গণমাধ্যমের মতো ইস্যুগুলোতে প্রশ্ন ওঠার পর ঢাকা বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তবে এখনও কাজের সুযোগ আছে বলে জানান।

            ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, বাক-স্বাধীনতা ও গুমের মতো বিষয়গুলো আমাদের কাছে উদ্বেজনক। জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার যখন বাংলাদেশে এসেছিলেন, তখনও আমরা বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। আমার মনে হয় সে ভালো একটি বিষয় তুলে ধরেছে, মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন উঠলে স্বচ্ছ একটা জবাব দিতে হয়। আমিও তাই মনে করি, সমাজে যখন কোনো অভিযোগ ওঠে তখন সেগুলো স্বচ্ছভাবে জবাব দিতে হয়। ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজিতেও বাংলাদেশের সাথে ব্রিটেন কাজ করতে আগ্রহী বলে জানান এই হাইকমিশনার। ইন্দো-প্যাসিফিক দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করতে আমরা অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বিষয়গুলো প্রাধান্য দেব। আগামী কয়েক দশকে একসঙ্গে কাজ করার এটাই হবে পন্থা। আমাদের মতে, বাংলাদেশও এই জোটের অংশ হতে পারে। এই অঞ্চলে ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্রাটেজির গুরুত্ব আছে। আঞ্চলিক অস্থিরতা নিরসনে এই স্ট্রাটেজিতে বাংলাদেশে লাভবান হতে পারে। সম্পর্কের গতিপথ আরও মসৃণ করতে এ বছর মন্ত্রী পর্যায়ে বেশ কিছু সফর রয়েছে জানিয়েছেন রবার্ট ডিকসন।

খবরটি 307 বার পঠিত হয়েছে


আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Follow us on Facebookschliessen
oeffnen