অর্থনীতি ডেস্ক: নদী ভাঙ্গনরোধে শরীয়তপুরের সখিপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদে (একনেকে) ৫৫২ কোটি ৪৮ লাখ টাকার প্রকল্প অনুমোদ দেয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে আনন্দের বন্যা বইছে। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেকের সভায় এ প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। সখিপুর উপজেলার চরভাগা, কাঁচিকাটা, উত্তর তারাবুনিয়া ও দক্ষিণ তারাবুনিয়া ইউনিয়নে পদ্মা নদীর ভাঙনরোধে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।

            প্রকল্প অনুমোদনের খবর সখিপুর উপজেলাবাসীর কাছে পৌঁছালে হাজার হাজার নারী-পুরুষ বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে ফেঁটে পড়ে। তাদের মধ্যে আনন্দ উল্লাস সৃষ্টি হয়। এলাকাবাসী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম এমপি’র প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আনন্দ মিছিল বের করে এবং মিষ্টি বিতরণ ও রঙ ছিটিয়েও উল্লাস করে। ষাটোর্ধ্ব ছলেমান গাজী ও সোনাব আলী বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজকে নদীভাঙন রক্ষায় বেঁড়িবাধ অনুমোদন দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করি। জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও চরভাগা ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্বা হাবিবুর রহমান সিকদার, কাঁচিকাটা ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন দেওয়ান, উত্তর তারাবুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুস মোল্যা, দক্ষিণ তারাবুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শাহজালাল মাল বলেন, প্রায় ৫০ বছর যাবৎ আমরা পদ্মার ভয়াল ভাঙনের শিকার হচ্ছি।

            পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম এমপি ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একনেকে চরভাগা, কাঁচিকাটা, উত্তর তারাবুনিয়া ও দক্ষিণ তারাবুনিয়া ইউনিয়নে পদ্মা নদী ভাঙনরোধে স্থায়ী প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছেন। এজন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে শরীয়তপুরের নড়িয়ার মতো নদী ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পাবে সখিপুরের মানুষ। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা শরীয়তপুরকে নদী ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করে সবদিক দিয়ে উন্নত সমৃদ্ধ জেলায় পরিণত করে যাচ্ছেন। ‘মাদার অফ হিউম্যানিটি’ প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা শরীয়তপুরবাসীকে চিরঋণে আবদ্ধ করলেন।

খবরটি 414 বার পঠিত হয়েছে


আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Follow us on Facebookschliessen
oeffnen