শিক্ষা ডেস্ক: প্রতিবছর বইমেলার বিদায়ের ঘণ্টাধ্বনি যত কাছে আসতে থাকে তত যেন নিভে যাওয়ার আগে প্রদীপ শিখা জ্বলে উঠে। আগামী ১৭ মার্চ শেষ হয়ে যাচ্ছে অমর একুশে বইমেলা। সে হিসেবে আজ শুক্রবারের শেষ শিশুপ্রহর। আর এই শেষ দিনে দেখা গেল শিশু প্রহরের অন্যরকম দৃশ্য। বেলা ১১টার পরেই যেন ঢল নামে বইমেলার শিশু চত্বরে। শুধু ঢাকার নয়, ঢাকার বাইরে থেকে অভিভাবকের হাত ধরে দলে দলে শিশুরা এসেছে বইমেলায়। শিশুচত্বর কালকাকলিতে মুখরিত হয়ে ওঠে। হালুম, ইকরি মিকরির অভিনয়ে তারা উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়ে তারা। কেউ কেউ আবার শিশু চত্বরে বসে নানা রঙের ছবি আঁকায় মেতে ওঠে। ক্ষুদে পাঠকদের অনেকে আবার সবুজ ঘাসের ওপর পা ছড়িয়ে বইয়ের পাতা খুলে পড়তে থাকে। অনেকে আবার অভিভাবকদের হাত ধরে ভিড় জমায় স্টলে স্টলে। পছন্দের বেছে নিতে, কিনতে দারুণ মনোযোগী হয়ে ওঠে। শিশু চত্বরের স্টলগুলোতেও দেখা যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন বিক্রেতারা।

            দারুণ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে শিশুরা জানায়, আজ তাদের বই কেনার দিন। লিস্ট করে নিয়ে এসেছে। বেশ কিছু বই তারা কিনেছে, আরও কেনার জন্যই তারা বিভিন্ন স্টলে যাচ্ছে। অভিভাবকরা জানান, রোদটা একটু বেশিই। তাই সকাল সকাল চলে এসেছেন তারা। সন্তানদের পছন্দের বই কিনে, খেলাধূলা করে তাদের সময় কাটছে। বিকেলে রোদ পড়লে তারা অনেকেই ফিরে যাবেন। কেউ আবার বিকেলের দিকেই আবার আসবেন বলে চলে যাচ্ছেন।

            রাজধানীর ভুতের গলি থেকে দুই সন্তানকে মেলায় নিয়ে এসেছেন অভিভাবক রাশেদা জামান। তিনি বললেন, আজই আর কালই তো শিশুপ্রহর শেষ হয়ে যাবে। তাই ওদের নিয়ে এলাম। পছন্দের বই কিনে দিয়েছি। ওরা এখানে এসে বেশ উপভোগ করে। তাই যতক্ষণ ওদের ভালো লাগে মেলা চত্বরেই থাকি। লালমাটিয়া থেকে আসা শিশু তামজিদ দারুণ খুশি হয়ে জানালো, অনেক বই, কোনটা কিনবো ভাবতে পারছি না। মনে হচ্ছে সব বইই কিনি। আরেক শিশু রেহান বললো, খুব ভালো লাগছে। এখানে এলে আর যেতে ইচ্ছে করে না। হালুম, ইকরি মিকরির সঙ্গে খেলতে ইচ্ছে করে।

            শিশু চত্বরের কয়েকজন প্রকাশকের মতে, ছুটির দিনের জন্য সবাই অপেক্ষা করেন। ওইদিনই বেচাকেনা বেশি হয়। মেলা যতই শেষের দিকে আসছে, ততই ভিড় বাড়ছে। সঙ্গে বেচাবিক্রিও খানিকটা বেড়েছে।

খবরটি 437 বার পঠিত হয়েছে


আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Follow us on Facebookschliessen
oeffnen