জবভ:                                                          উধঃব: ১৩ এপ্রিল ২০২২

 

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

 

লামায় ম্রো ও ত্রিপুরাদের ৪০০ একর জায়গা বেদখলের প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ

 

বান্দরবানের লামায় উপজেলার সরই ইউনিয়নে লামা রাবার ইন্ডাষ্ট্রিজ কর্তৃক ম্রো ও ত্রিপুরা জাতিসত্তাদের ৪০০ একর জুমের জায়গা বেদখলের প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম খাগড়াছড়ি জেলা শাখা।

আজ বুধবার (১৩ এপ্রিল ২০২২) বিকাল ৩.০০টার সময় বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ জেলা সাধারণ শান্ত চাকমা ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের জেলা সহ-সভাপতি লিটন চাকমা।

            বক্তারা বলেন সরকার কথিত উন্নয়নের নামে যেমনি পাহাড়িদের ভূমি বেদখলে তৎপর তেমনি সরকারি মদদে লামা রাবার ইন্ডাষ্ট্রিসহ বিভিন্ন কোম্পানি পার্বত্য চট্টট্টগ্রামে ভূমি বেদখলের অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। যার কারণে প্রকাশ্যে ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে সেটলার ও রোহিঙ্গা লেলিয়ে দিয়ে লামায় রাবার ইন্ডাষ্ট্রিজ কর্তৃক ম্রো ও ত্রিপুরা জাতিসত্তাদের জায়গা জবরদখল করলেও প্রশাসন কোন পদক্ষেপ নেয় না। একইভাবে চিম্বুক পাহাড়েও ম্রো জাতিসত্তাসহ সারাদেশে ব্যাপক প্রতিবাদ-বিক্ষোভ সত্ত্বেও এখনো পাঁচতারকা হোটেল নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সরকার-প্রশাসন ও ভূমিদস্যুদের এমন যোগসাজশের উদ্দেশ্য হচ্ছে পাহাড়িদেরকে নিজ জায়গা ও বসতভিটা থেকে চিরতরে উচ্ছেদ করা।

            বক্তারা আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে একদিকে ভূমি বেদখল করে পাহাড়িদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে, অন্যদিকে অন্যায় দমন-পীড়ন চালিয়ে তাদের মধ্যে ভীতি সঞ্চার করা হচ্ছে। পাহাড়িদের ঐতিহ্যবাহী বৈ-সা-বি উৎসবের সময়ে তারা আরো বেশি তৎপরতা চালিয়ে থাকে। আজও মাটিরাঙ্গা-পানছড়ি সীমান্তবর্তী তুলাতলি এলাকায় বিজিবি ও সেটলাররা পাহাড়িদের রোপন করা শিমুল আলু ও কচু উপড়ে ফেলে দিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এ অবস্থায় পাহাড়িরা কিভাবে নিরাপদে উৎসব পালন করবে? বক্তারা বলেন, সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামে ঐতিহ্যবাহী প্রধান সামাজিক উৎসবের জন্য সরকার এখন সাধারণ ছুটির ব্যবস্থা করেনি। ফলে অনেক পাহাড়ি শিক্ষার্থী ও চাকুরিজীবী উৎসবে সামিল হতে পারেননি। এটা পাহাড়িদের জন্য সরকারের বৈষম্যমূলক আচরণেরই বহিঃপ্রকাশ। তারা পাহাড়িদের বৈ-সা-বি উৎসবের জন্য ৪ দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণার দাবি জানান।

সমাবেশ থেকে বক্তারা ভূমিদস্যু লামা রাবার ইন্ড্রাষ্ট্রিজ ও এর পরিচালকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ম্রো ও ত্রিপুরা জাতিসত্তার বংশপরম্পরায় ভোগদখলীয় ৪০০ একর জুমের জায়গা জবরদখল বন্ধের দাবি জানান।

বার্তা প্রেরক

 

অনন্ত চাকমা

দপ্তর সম্পাদক

পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ

খাগড়াছড়ি জেলা শাখা।

খবরটি 447 বার পঠিত হয়েছে


আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Follow us on Facebookschliessen
oeffnen