আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ডনবাস স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা ও স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। ডনবাস রাষ্ট্র ভৌগলিক সীমারেখা বৃদ্ধির পরিকল্পনা করছে রাশিয়া। ইউক্রেনের সামরিক অভিযান কৌশলগত দিক পরিবর্তন করছে রাশিয়ার। ডনবাস অধিক নিরাপদের লক্ষ্যে যুদ্ধ হবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মতো রাশিয়া ও পশ্চিমা শক্তির লড়াই। এ যুদ্ধে উন্নত অস্ত্র ব্যবহার করবে রাশিয়া।
পশ্চিমা বন্ধু দেশগুলোর কাছে আরও অস্ত্র এবং মস্কোর বিরুদ্ধে বড় নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানিয়েছে কিয়েভ। তা না হলে পূর্ব ইউক্রেনে রাশিয়ান হামলার মাত্রা ন্যাটো সদস্যদের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কথা মনে করিয়ে দেবে বলে জানিয়েছে তারা। বৃহস্পতিবার ব্রাসেলসে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা এক বৈঠকে বলেন, আপনারা আমাদের দ্রুত সাহায্য করুন না হলে অনেক লোক মারা যাবে। তিনি বলেন, আমি আশা করেছিলাম ন্যাটো সদস্যরা কিয়েভকে প্রয়োজনীয় অস্ত্র পাঠাবে, যার মধ্যে থাকবে বিমান, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, কামান, সাঁজোয়া যান। আমার কোন সন্দেহ নেই যে ইউক্রেনের কাছে যুদ্ধের জন্য প্রয়োজনীয় অস্ত্র থাকবে। আর এই ডনবাসের যুদ্ধের হাজার হাজার ট্যাংক, সাঁজোয়া যান, প্লেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কথা মনে করিয়ে দেবে।
এদিকে ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ সাংবাদিকদের বলেছেন, জোট ইউক্রেনকে সমর্থন করতে সম্মত হয়েছে, অস্ত্র দিচ্ছে এবং রাসায়নিক ও জৈবিক হুমকির বিরুদ্ধে সুরক্ষার জন্য সাইবার নিরাপত্তা সহায়তা ও সরঞ্জাম দেবে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়ান সৈন্যরা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ ও সমুদ্র পথে ইউক্রেনে এই হামলা শুরু করে। একসঙ্গে তিন দিক দিয়ে হওয়া এই হামলায় ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পড়েছে বৃষ্টির মতো। সর্বাত্মক হামলা শুরুর পর এক মাসের অধিক সময়ের মধ্যে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটির বহু শহর কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়। এছাড়া হামলার শুরুর মাত্র চার দিনের মাথায় গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার পরমাণু প্রতিরোধ বাহিনীকে বিশেষ সতর্কতায় থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন পুতিন। পুতিনের এই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বজুড়ে সে সময় দেখা দিয়েছিল শঙ্কা। রুশ প্রেসিডেন্টের তীব্র সমালোচনা করে সেসময় হোয়াইট হাউস জানায়, পরমাণু হামলা চালানোর হুমকি দিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন।