পযর্টন ডেস্ক: খৈয়াছড়া ঝর্ণা যেন প্রকৃতির নান্দনিক তুলিতে আঁকা অপরূপ এক ছবি। এর সৌন্দর্যে মুগ্ধ ভ্রমণ পিয়াসী মানুষ। চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ের খৈয়াছড়ায় আট স্তরের এই ঝর্ণা দেখতে দেশি-বিদেশি পর্যটকের ভিড় থাকে বছর জুড়ে। যাতায়াত ব্যবস্থা আর অবকাঠামোর উন্নয়ন করলে সরকার এই স্পট থেকে রাজস্ব আয় করতে পারবে।
চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার খৈয়াছড়া ইউনিয়নের বড়তাকিয়া বাজারের উত্তর পাশে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ৪ দশমিক ২ কিলোমিটার পূর্বে খৈয়াছড়া ঝর্ণার অবস্থান। এর মধ্যে দুই কিলোমিটার যাওয়া যায় গাড়িতে, বাকি পথ যেতে হবে পায়ে হেঁটে। বাঁশের সাকো, ক্ষেতের আইল, আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ আর চারটি পাহাড় পেরিয়ে যখন ঝর্ণার স্বচ্ছ জলে গা ভেজায় পর্যটকেরা, তখন পথের ক্লান্তি ধুয়ে যায় নিমিষে। সবুজ পাহাড় আর ঝর্ণার জলে ডুব দিয়ে ভ্রমণ পিয়াসীরা খুঁজে পায় জীবনস্রোতে ছুটে চলার নতুন প্রেরণা।
চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের আওতাধীন ২০১০ সালে সরকার বারৈয়াঢালা ব্লক থেকে কুন্ডেরহাট (বড়তাকিয়া) ব্লকের ২ হাজার ৯৩৩ দশমিক ৬১ হেক্টর পাহাড়কে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করে। খৈয়াছড়া ঝর্ণা জাতীয় উদ্যানের আওতাভুক্ত একটি দর্শনীয় স্থান। জাতীয় উদ্যানকে পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় করে তুলতে কাজ করছে বারৈয়াঢালা জাতীয় উদ্যানসহ ব্যবস্থাপনা কমিটি। ইতোমধ্যে খৈয়াছড়া ঝর্ণাকে পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় করে তুলতে নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।