খেলা ডেস্ক: আর্জেন্টিনা যখন ১৯৭৮ বিশ্বকাপে প্রথম শিরোপাটা ঘরে তুলেছিল, তিনিই ছিলেন নায়ক। ফাইনালে করেছিলেন একমাত্র গোলটা, তাতেই বিশ্বকাপ জিতেছিল আকাশী সাদারা। সেবার কোচ সেজার লুইস মেনোত্তির তুরুপের তাস ২০২২ বিশ্বকাপেও আশায় বুক বাধছেন। কোচ লিওনেল স্ক্যালোনির আর্জেন্টিনা দারুণ আশা যে দেখাচ্ছে তাকে! লিওনেল মেসির সাম্প্রতিক ফর্ম নিয়ে সমর্থকদের মনে দুশ্চিন্তার যোগান দিচ্ছে। তবে কেম্পেস এখানে অভয় দিচ্ছেন ভক্ত-সমর্থকদের। বলছেন, মেসি সবসময় মেসিই থাকবে, তার মনোবল কখনো নুয়ে পড়বে না। সে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মনোভাব রাখে বেশ। আর্জেন্টিনার জার্সি পরলে তা বেড়ে যায় বহুগুণে।

            স্ক্যালোনির আর্জেন্টিনা শেষ দেড় বছরে দারুণ পারফর্ম করে যাচ্ছে। গেল বছর পুরোটা সময় ম্যাচ হারেনি একটিও। শেষ হারটা সেই ২০১৯ সালে। টানা ২৯ ম্যাচ ধরে লিওনেল মেসিদের কেউ হারাতে পারেনি। এমন রেকর্ডে আশা দেখবেন না কে? তবে রেকর্ডের চেয়েও কেম্পেস বড় করে দেখলেন দলের রসায়নকে। স্ক্যালোনি যখন প্রথম দায়িত্ব নেন, তখন থেকে বেশ কিছু দিন আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে লিওনেল মেসিকে পাননি। তখন বেশ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর দল গুছিয়েছেন। এরপর মেসি আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে ফেরার পর দলের আক্রমণে শক্তি বেড়েছে বেশ। সে বিষয়টাই এখন কাজে দিচ্ছে দলটির। কেম্পেসের চোখে পড়েছে এ বিষয়টা।

            সম্প্রতি ফুয়েরা দে কন্ত্রোলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কেম্পেস বলেন, স্ক্যালোনি দারুণ এক আর্জেন্টিনা জাতীয় দল বানিয়ে বসেছে। কার্যত এখানে সবাই নতুন মুখ, যাদের দারুণ দক্ষতা আছে, যারা বাইরে থেকে আসছে, বড় দলে খেলে আসছে। আমি এই আর্জেন্টিনা জাতীয় দলে বেশ উন্মাদনা দেখছি, এই দলের নিজেদের সম্পর্কে ধারণাটাও বেশ পরিষ্কার। এটাই আমাকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলছে। আমি এই জাতীয় দলটায় বিশ্বাস করি। ভবিষ্যতে কী ঘটবে তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আমাদের। তিনি বলেন, এই জাতীয় দলটা আর স্ক্যালোনি দেখিয়েছে, মেসিকে ছাড়াও খেলোয়াড়দের নিজস্ব ব্যক্তিত্ব আছে। কিন্তু মেসিকে দলে পেলে গুরুত্বপূর্ণ সাহায্যের চেয়েও বেশি কিছু পেয়ে যায় দলটা।

খবরটি 494 বার পঠিত হয়েছে


আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Follow us on Facebookschliessen
oeffnen