তথ্য প্রযুক্তি ডেস্ক: ইউটিউব, ফেসবুকসহ ৫৫ মার্কেটপ্লেস থেকে আয় করা ফ্রিল্যান্সাররা ৪ শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনা পাবেন। সরাসরি উৎসাহ দেয়ায় সরকারের এ সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট ফ্রিল্যান্সাররা। তাদের মতে, এর মাধ্যমে আইসিটি খাতের ৫ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সহজ হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ থেকে এসংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রাথমিকভাবে আপওয়ার্ক, ফাইভার, গুগল অ্যাডসেন্স, ইউটিউব, ফেসবুক, ফ্রিল্যান্সার, অ্যামাজন অ্যাসোসিয়েটসহ ৫৫টি স্বীকৃত প্ল্যাটফর্মের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। এসব অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে আয় করলে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছর থেকেই ৪ শতাংশ নগদ প্রণোদনা পাবেন ফ্রিল্যান্সাররা।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ব্যক্তিপর্যায়ের ফ্রিল্যান্সাররা সফটওয়্যার ও আইটিইএস সেবা অনলাইন মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে রপ্তানি করে থাকে। সফটওয়্যার ও আইটিইএস সেবা রপ্তানির বিপরীতে নগদ সহায়তা পেতে হলে সংশ্লিষ্ট অনলাইন মার্কেটপ্লেসকে তথ্য ও যোগাযোগ ও প্রযুক্তি বিভাগ কর্তৃক স্বীকৃত হওয়ার শর্ত রয়েছে।
প্রথাগত কোন চাকরি নয়, দেশে থেকেই বিদেশি প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কাছে সফটওয়্যার, ভিডিওকনটেন্ট, গ্রাফিক্স বা ওয়েব ডিজাইনের মত হাজারো প্রযুক্তি সেবা বিক্রি করা হচ্ছে। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং বা এমন মুক্ত পেশায় দেশের ৬ লাখের বেশি মানুষ কাজ করছেন। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বছরে বর্তমানে যে ১০০ কোটি ডলার আয় হয়, তাতে ফ্রিল্যান্সারদের অবদান উল্লেখযোগ্য। তাদেরকে সরকারি স্বীকৃতির অংশ হিসেবে ফাইভার, আপওয়ার্ক, গুগল অ্যাডসেন্সসহ মোট ৫৫ মার্কেটপ্লেস থেকে আয়ের ওপর ৪ শতাংশ প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে।
সরকারের ঘোষিত প্রণোদনা কাঠামো বাস্তবায়নে আনন্দিত ফ্রিল্যান্সিং পেশায় যুক্ত তরুণরা । তাদের মতে, রাষ্ট্রীয়ভাবে এমন উৎসাহ তাদের সামাজিক অবস্থানকেও সুদৃঢ় করবে।
ফ্রিল্যান্সারদের দক্ষতা উন্নয়ন ও সক্ষমতা বাড়াতে আয়ের একটা অংশ বিদেশি প্লাটফর্মে ব্যয়ের নীতিমালা সহজ করা উচিত বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। আন্তর্জাতিকভাবে বহুল ব্যবহৃত পেমেন্ট গেটওয়ে পেপালের সুবিধা দেশে আনা গেলে ফ্রিল্যান্সিং পেশায় কাজের পরিধি আরো বাড়বে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

খবরটি 431 বার পঠিত হয়েছে


আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Follow us on Facebookschliessen
oeffnen