পার্বত্য চট্টগ্রাম ডেস্ক: ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রসীত বিকাশ খীসাসহ তাঁর দলের ২৭ নেতাকর্মীকে ১৫ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রাঙামাটি চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ফারুক পত্রিকায় এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাদেরকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। অন্যথায় তাদের অনুপস্থিতিতে মামলার কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়া হয় বিজ্ঞপ্তিতে। ২০১৮ সালে ২৬ এপ্রিল নানিয়ারচর থানায় কালুময় চাকমা হত্যার অভিযোগে ২৭জনের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করা হয়।

            আদালতের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তফসিলভুক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে এবং ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী আসামিদের বিরুদ্ধে কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতার এবং বিচার এড়ানোর জন্য পলাতক আছেন। তাদের দ্রুত গ্রেফতার হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই, তাই ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী এ আদেশ পত্রিকায় প্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যে আসামিদের আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হলো। অন্যথায় তাদের অনুপস্থিতিতে বিচারকার্য হবে। আসামি হলেন, ইউপিডিএফের কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রসীত বিকাশ খীসা (৫৪), রঞ্জন মনি চাকমা জেনিট (৫২), সবিচ চাকমা সজল সুকর্ণ (৫৭), শান্তিদেব চাকমা সানি (৫০), সুমেট চাকমা (৪৫), উদয় শংকর চাকমা (৫২), প্রমোদ বিকাশ খীসা (৫৩), অমর জীবন চাকমা (৫৫), সর্বানন্দ চাকমা মকানন্দ (৪১), কানন কুসুম চাকমা (৪৭), রবিচন্দ্র চাকমা (৪৮), বিমল চাকমা উদয় (৫০), সুবিকাশ চাকমা (৩৭), সুজন মনি চাকমা (৩২), মধুরঞ্জন চাকমা (৪৮), অনিল চাকমা (৩০), সুপন চাকমা সুশীল জীবন (৫২), জ্যোতিলাল চাকমা (৫২), বিদ্যাময়ী ডিএম (৪০), অমর কান্তি চাকমা (৫০), কালামনি চাকমা (৩০), বৌধিসত্য চাকমা রিচার্জ (৪৪), বাবুল চাকমা (৩৫), তুষাণ চাকমা (৩০), সুশীল চাকমা (৩০), রহিম চাকমা (২৫), বিবিদ রতন চাকমা (২২)।

            নানিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজন হালদার বলেন, ২০১৮ সালের ১১ এপ্রিল কালুময় চাকমাকে নানিয়ারচরের তার বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। পরে বাথছড়ি শ্মশান থেকে তার দাহ করা লাশ উদ্ধার করা হয়। কালুময় চাকমার হত্যার ঘটনায় সম্পৃক্ততার দায়ে এডমিশন চাকমা বাদী হয়ে ২৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর তাদেরকে গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনা করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আদালতে আত্মসমর্পণ না করায় পরবর্তী সময়ে আদালত নিয়ম অনুযায়ী মামলার কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

            ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির বিরোধীতা করে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের সাবেক সভাপতি প্রসীত বিকাশ খীসার নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করে পাহাড়ের দ্বিতীয় আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। প্রতিষ্ঠার পর সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সাথে সশস্ত্র সংঘাতে কয়েকশত নেতাকর্মীর প্রাণহানি হয়।

খবরটি 404 বার পঠিত হয়েছে


আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Follow us on Facebookschliessen
oeffnen